নেতাজির জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অথচ এই দিনকে ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালন করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণারও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও দাবিই মেনে নেয়নি মোদী সরকার। মঙ্গলবার টুইটে সেটাই স্মরণ করালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, ভোটবাজারে বাংলার মনে দাগ কাটতে অনেকটা বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথের মত নেতাজিকেও হাতিয়ার করল বিজেপি। বাংলা ও বাঙালির আবেগকে গুরুত্ব দেওয় হল না। জাতীয় ছুটিও ঘোষণা করা হল না।
অন্যদিকে ধুমধাম করে বাংলায় পালিত হয় নেতাজির জন্মদিন। ভূমিপুত্রকে যোগ্য সম্মান জানাতে রাজ্য সরকারের তরফে নেওয়া হয় একাধিক কর্মসূচি। সে কথা মনে করিয়ে টুইটে ডেরেক লেখেন, ‘বাংলার ভূমিপুত্রের সম্মানে প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি রাজ্য সরকারের তরফে মহা সমারোহে পালিত হয় সুভাষ উৎসব। ২০১৪ সাল থেকে দার্জিলিংয়ে রাজ্য পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলি উদযাপিত হচ্ছে।’ এরপরইডেরেক মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৩ জানুয়ারী নেতাজির সম্মানে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছেন।’ কিন্তু কেন্দ্র কথা রাখেনি। জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেনি মোদী সরকার।
নেতাজির জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ ঘোষণা করলেও মানতে নারাজ ফরোয়ার্ড ব্লক। তাদের দাবি ২৩ জানুয়ারি দেশপ্রেম দিবস ঘোষণা করতে হবে। নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসুও মনে করছেন, নেতাজির জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবেই দেখতে চাইছেন তাঁরা। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।