একেই বলে সরষের মধ্যে ভূত! যোগীরাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে নানা সমালোচনা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। কিন্তু তা বলে খোদ থানার মধ্যে থেকেই মধুচক্র চালানোর অভিযোগ! উত্তরপ্রদেশের পিলিভিত জেলার ওই থানার দুই কনস্টেবলকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনায় সামনে এসেছে এক অডিও রেকর্ডিং। ওই অডিও রেকর্ডিং থেকেই জানা যায়, ফোনের ওপারে থাকা মহিলাকে তরুণদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেল করার নির্দেশ দিচ্ছেন অভিযুক্তরা। এবং এও জানা যায় তাঁর প্রতি চাপ বজায় রাখতে নিয়মিত ওই মহিলাকে যৌন নির্যাতনও করতেন তাঁরা। কেবল ওই দু’জনকে সাসপেন্ড করাই নয়, ওই চৌকির আরও সাতজন পুলিশকর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য থানায়।সাসপেন্ড করা হয়েছে পাশের লালাউড়িখেরা পুলিশ চৌকির হেড কনস্টেবল অবনীশ কুমারকেও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৭৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহনের থেকে ঘুষ নেওয়ার। এক্ষেত্রেও ঘটনার ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। সেটা হাতে আসার পরই এই পদক্ষেপ করা হয়।
ঠিক কী অভিযোগ ওই কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে? গড়ওয়াখেড়া পুলিশ চৌকিতে থাকার সময় অভিযুক্তদের একজনকে ফোন করতে দেখা যায় এক কলগার্লকে। সেই ফোনের কথোপকথন রেকর্ড করে নেন তিনি। ওই অডিও রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়াতেই ফাঁস হয়ে যায় তাঁদের কীর্তি। পরে সেই কথোপকথন হাতে আসে জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের। সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসেন তাঁরা। দ্রুত থানায় পৌঁছে অভিযুক্ত ভিতিন মিশ্র ও পবন মিশ্রকে সাসপেন্ড করা হয়।