অস্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ টেস্টে হারিয়ে সাধের গাব্বা দুর্গ একেবারে চূর্ণ করে দিয়েছে রাহানের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এটা সেই ভারত, যে দলে চোটের জন্য পরপর ছিটকে গিয়েছিলেন একাধিক তারকা। যার ফলে প্রথম একাদশ নামাতে গিয়েও রীতিমতো বেগ হতে হয়েছে শাস্ত্রী-রাহানে জুটিকে। আজ যে খেলোয়াড়রা অজি দম্ভ চুরমার করলেন, তাঁদের অনেকেই আবার কবে টেস্ট খেলতে পারবেন, তা হয়ত জানেন না। তবে তাঁরা সবাই একটা জিনিস জানতেন- অদম্য জেদ, লড়াই, আত্মবিশ্বাসে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইতিহাস রচনা করতে পারবেন তাঁরা। আর সেই বিশ্বাস ধরে রেখেই গাব্বা টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ায় পরপর দু’বার টেস্ট সিরিজ জিতল ভারত।
আর আজ সেই ঐতিহাসিক জয়ের পর রীতিমত উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে টুইটার। জয়ের মাহাত্ম্য যে কতটা, তা প্রাক্তন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারদের দেখেই বোঝা গিয়েছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই টুইট করেন স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন তেন্ডুলকর। তিনি লেখেন, “প্রতিটি সেশনে আমরা নতুন নায়ক খুঁজে পেয়েছি। যখনই আমরা ধাক্কা খেয়েছি, আমরা একসঙ্গে উঠে দাঁড়িয়েছি। ভয়ডরহীন খেলার বিশ্বাসের ক্ষেত্রে যে সীমা আছে, তা ছাপিয়ে গিয়েছে ছেলেরা। কিন্তু আমরা অসাবধানতার ক্রিকেট খেলিনি। শান্ত এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে চোট-আঘাত এবং অনিশ্চয়তাকে জয় করেছি। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা সিরিজ জয়। অভিনন্দন ভারত।”
এদিকে ঋষভ পন্তের শেষ শট বাউন্ডারির বাইরে যাওয়ার পরেই টুইট করেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনি লেখেন, “ঐতিহাসিক সিরিজ জয় টিম ইন্ডিয়ার। যখন সবথেকে বেশি প্রয়োজন, তখনই নিজেদের প্রমাণ করল আমাদের তরুণ ছেলেরা। গিল এবং পন্থ একেবারে সামনের সারিতে থাকবেন। এই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য রবি শাস্ত্রী এবং সাপোর্ট স্টাফদের নতমস্তকে সম্মান জানাচ্ছি আমি। এই দলের খেলোয়াড়দের জন্য সবথেকে বেশি গর্বিত। এর রেশ দীর্ঘদিন থেকে যাবে।”
তবে শুধুই তরুণদের নয়, দলের স্টপগ্যাপ অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেরও প্রশংসা করেন এই প্রাক্তন ভারতীয় তারকা। তিনি বলেন, ” বিরাটের অবর্তমানে দুর্দান্তভাবে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাহানে। তরুণদের অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। পাশাপাশি পূজারা আবারও নিজের লৌহ-ইস্পাত জেদের প্রমাণ দিলেন। সিরাজ-শার্দূলের মত তরুণ ক্রিকেটার সম্পন্ন বোলিং বিভাগকেও ভোলা যাবে না। এই জয় দুর্দান্ত দলগত চেষ্টার জয়। জয় হে!”