একুশের নির্বাচনে মাস্টারস্ট্রোক মমতার। নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, ‘ভবানীপুরের মানুষকেও আমি কষ্ট দেব না, ম্যানেজ করতে পারলে নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর দুই জায়গা থেকেই আমি দাঁড়াব। নন্দীগ্রামে আমি দাঁড়াবই।’
এদিনের সভা মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘আচ্ছা, আমি-ই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়? এটা আমার আবেগের জায়গা। ভবানীপুরকেও আমি নেগলেক্ট করছি না। ওটাও আমার আবেগের জায়গা। ওখানেও ভালো প্রার্থী দেব। তবে সুব্রত বক্সীকে বলব, নন্দীগ্রামে আমার নামটা চূড়ান্ত করে দিতে।’ সুব্রত বক্সী জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করলাম। আপনারা মমতাকে জিতিয়ে আবার মসনদে পাঠিয়ে দেবেন।’
নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মার টান। তাই নিজের উত্থানস্থল থেকেই একুশের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে চান তিনি। এদিনের সভা মঞ্চ থেকে নন্দীগ্রাম থেকে নিজের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করে এমনটাই জানালেন মমতা। মমতার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা শুনে সভা স্থল উত্তাল। উঠে দাঁড়িয়ে, হাততালি দিয়ে মমতার ঘোষণাকে সমর্থন জানালেন উপস্থিত লাখো জনতা।
মমতা আরও বলেন, ‘তৃণমূল এই নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে সব আসনে জিতবে। আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে কেমন হয়। ভাবছিলাম একটু ইচ্ছা হল। এটা আমার ভালোবাসার জায়গা। আমি হয়তো ভোটের সময়ে বেশি টাইম দিতে পারব না। কারণ ২৯৪টা আসনই আমাকে দেখতে হয়। কিন্তু আপনারা সেটা করে নেবেন। পরে যা কাজ আমি সব করে দেব। এমন দল কোথাও দেখেছেন, ভালোবাসার টানে প্রার্থী হচ্ছে। ভবানীপুরকেও অবহেলা করছি না। সেখানে ভালো প্রার্থী দেব। আমার বিবেক আমাকে বলেছে নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণাটা করা হোক। এটাই আমার সব থেকে লাকি জায়গা। এটা সবথেকে পবিত্র-পুণ্য জায়গা।’
এদিন মমতা বলেন, যেভাবে আপনারা আন্দোলন করেছিলেন, তার তুলনা হয় না। নন্দীগ্রাম আমার কাছে লাকি জায়গা। ২০১৬ বিধানসভার আগে আমি ঘোষণা করেছিলাম তৃণমূল জিতবে। এবার ২০২১-এও বলছি তৃণমূল জিতবে। আমি বেঁচে থাকতে বাংলাকে বিক্রি করতে দেব না। কেউ কেউ সার্ভে রিপোর্ট উল্টে দিয়েছে। ফেকধারীর বাংলায় নাটক করছে। বিজেপির কোটি কোটি গ্রুপ আছে। মিথ্যা-অপপ্রচার করে। টাকা দিয়ে লালকে সাদা আর সাদাকে কালো করে।’