বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বাগযুদ্ধের তীব্রতা। আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বসে ফের বিজেপিকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। বলেন, বিভিন্ন দল থেকে কিছু দাগি লোকদের নিয়ে বিজেপি দলটা দাগি দলে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের মানুষের কাজ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে লক্ষ্য নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাশাপাশি বিজেপি সরকারের কিছু কর্মসূচির কথা তিনি তুলে ধরেন যেগুলি নিয়ে বিজেপি প্রচার করলেও আসলে কাজের কাজ কিছু হয়নি। তিনি বলেন, বিজেপির সব প্রকল্পই বাস্তবে জুমলা। যেমন ২০১৪ সালে ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী সকলকে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বলেছিল যা পড়ে এক টিভি চ্যানেলে অমিত শাহ স্বীকার করে তা ছিল একটি জুমলা।
২০১৫ সালে চালু হওয়া বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের বড় করা ও স্বনির্ভর করা। কিন্তু বাস্তবে তা বেটি পিটাও, বেটি মিটাওতে পরিণত হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গনধর্ষণ ও হত্যা রোজকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু উদাহরণ তিনি তুলে ধরেন। কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে রাতে পুলিশ ঢুকে মেয়েদের মারধোর করে। হাথরাসে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। সেখানে সাংবাদিক ঢুকতে গেলে সেই মহিলা সাংবাদিককে ২২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এরপর একইরকম পৈশাচিক ঘটনা ঘটে বলরামপুর ও বদায়ুঁতে।
এদিকে, নোটবন্দী করার সময় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬ মাসের মধ্যে এর সুফল না পেলে তাঁকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে শাস্তি দিতে। কিন্তু এর ফলে দেশের জিডিপি ২ শতাংশ কমে যায়। ৯৯ শতাংশ টাকাই ব্যাঙ্কে ফিরে আসে। ১৫ লক্ষ মানুষ কাজ হারান। লাইনে দাঁড়িয়ে ১০০র বেশি মানুষ মারা যায়। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শাস্তি নিতে আসেন নি।
এমনকি মুদ্রা প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ শতাংশ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে ২০১৮র তুলনায় ২০১৯এ এনপিএ দ্বিগুণ হয়েছে। সরকারি ব্যাঙ্ককে বাধ্য হয়ে জামানত মুক্ত মুদ্রা ঋণ দিতে হচ্ছে। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পেও ডাহা ফেল বিজেপি। সরকারি নথিতে বলা হচ্ছে দেশের ৭১ শতাংশ শৌচালয় নির্মিত। কিন্তু, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি উন্মুক্ত স্থানে শৌচ কর্ম করতে গিয়ে দুই শিশু মারা যায়। আইনত নিষিদ্ধ হলেও আজও প্রতি পাঁচ দিনে গড়ে একজন সাফাইকর্মী মারা যান।