চলছে কৃষক আন্দোলন। এবার ক্ষোভে ফুটছে সংগঠিত ও অসংগঠিত শ্রমিকদের সংগঠনগুলিও। সমস্যা হাজারও, দাবীও অনেক। কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষে কোনও আশ্বাস নেই। তাই বিশ্বাস হারিয়ে ক্ষোভে ফুটছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।
পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং(ফিনান্সিয়াল) চারটি সংগঠন। এঁরা ন্যাশনাল অরগানাইজেশন অফ ইন্সুরেন্স পেনশনার্স, ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জেনারেল ইন্সুরেন্স এমপ্লয়িস, ন্যাশনাল অরগানাইজেশন অফ ইন্সুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অফিসার্স, কানারা ব্যাঙ্ক অফিসার্স অরগানাইজেশনের সংগঠিত এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের। সহজ কথায় নানা ইস্যু নিয়ে ক্ষুব্ধ এলআইসি, জিআইসি, ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা। দাবি না মেটালে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
তাঁদের মূল দাবি গুলির অন্যতম দীর্ঘদিন ধরে পেনশন বৃদ্ধি না হওয়া। ফ্যামিলি পেনশন ১৫% এ আটকে থাকা। ‘এক্স সার্ভিস এমপ্লয়িজ’দের পেনশন এর সমস্যার সমাধান চাইছে এই সংগঠনগুলি। পাশাপাশি চটজলদি ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের বদলি, ব্যাঙ্ক কর্তাদের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ, এলআইসি ডেভলপমেন্ট অফিসারদের বর্ধিত মাইনের ক্ষেত্রে চাকুরীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবীও রয়েছে। সংগঠনের দাবী, ব্যাঙ্কের ফিক্স ডিপোজিটে সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে সুদের মাত্রা অত্যন্ত কমিয়ে দেওয়ায় বিস্তর অসুবিধা হচ্ছে গ্রাহকদের। পেনসনারদের মেডিকেল বেনিফিট আরও উন্নত করার দাবি রয়েছে তাঁদের।
সঙ্গে ‘এনওআইডিও’ বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে ডেভলপমেন্ট অফিসারদের চাকরির নিরাপত্তা দিতে হবে , কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলআইসি ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের দীর্ঘকালীন বেসিক পে সংক্রান্ত সমস্যা চলে আসছে , জিআইসি কর্মচারীদের বেতন সংশোধন ও পেনশন বৃদ্ধির এবং কেন্দ্রের আর্থিক নীতি ও বিলগ্নীকরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা।