শেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত থাকার নিরিখে বলাই যায়, বদলে গিয়েছে এসসি ইস্ট বেঙ্গল। আইএসএলে শুক্রবার ভাস্কোর তিলক ময়দানে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে উজ্জীবিত লাল-হলুদ শিবির। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ন’নম্বরে উঠে এসেছেন স্টেইনম্যান-শেহনাজরা। তারপরেই অবস্থান করছে কেরালা ব্লাস্টার্স (১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট)। গতবার মোহন বাগানকে আই লিগ জিতিয়েছিলেন কিবু ভিকুনা। কিন্তু এবার আইএসএলে তাঁর দলের পারফরম্যান্স মোটেই আশাপ্রদ নয়। তাই তাঁর গদি খুবই টলমলে। তাই শুক্রবারের ম্যাচে এসসি ইস্ট বেঙ্গলই ফেভারিট। এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেলেই লিগ তালিকায় আরও কয়েক ধাপ এগনোর সম্ভাবনা থাকছে ব্রাইট-পিলকিংটনদের।
এখন গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার ভালো ফর্মে রয়েছেন। ব্রাইট তিন ম্যাচে দু’টি গোল করেছেন। ইস্ট বেঙ্গল মিডফিল্ডাররা দশটির মধ্যে সাতটি গোল করেছেন। আর কোনও দলের মিডফিল্ডারদের এই স্কোরিং রেট নেই। পরিসংখ্যান বলছে, কেরল ব্লাস্টার্সের দুর্বল রক্ষণ সবচেয়ে বেশি ১৯ গোল হজম করেছে। পক্ষান্তরে, গোল করেছে ১৩টি। কেরালা স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়ে চিন্তায় রয়েছে লাল-হলুদ কোচ। কেরালার আটজন ফুটবলার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে গোল করেছেন। কোচ কিবু ভিকুনা বলছেন, ‘ইস্ট বেঙ্গলের থেকে আমরা বেশি লক্ষ্যভেদ করেছি। কিন্তু গোল হজম করাতেও কেরালা এগিয়ে। আমাদের ফুটবলাররা মানসিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। তবে এই ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে ওরা বদ্ধপরিকর।’
এসসি ইস্ট বেঙ্গল কোচ রবি ফাউলার বলেন, ‘দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ফুটবলাররা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যা ধরে রাখতে পারলে প্লে-অফে খেলা খুব কঠিন হবে না। তবে প্রতিটি ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ। লড়াকু ফুটবল মেলে ধরে জিততে চাই। মাস খানেক আগে সমর্থক এবং সংবাদমাধ্যমের সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলাম। তা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাস হারাইনি। এটাই দলের মূলধন।’