হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম আসলে বিজেপির বি-টিম।’ কংগ্রেস এবং অন্যান্য তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির করা এই অভিযোগ এবার কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। খোলাখুলিই বলে দিলেন, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদে ওয়েইসি আমাদের উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলা জয়ে সাহায্য করবেন।’
আসলে, সদ্যই বিহারে সাফল্য পাওয়ার পর একুশের নির্বাচনে বাংলায় এবং বাইশের নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিম। সেই লক্ষ্যে দুই রাজ্যের ছোট ছোট দলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধার চেষ্টাও পুরোদস্তুর চালাচ্ছেন দলের সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি বলছেন, যৌথভাবে বিজেপির ‘হিন্দুত্ববাদী’ রাজনীতির প্রতিবাদ করতে চান। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ বা বাংলার মতো রাজ্যে এআইএমআইএম-এর উপস্থিতি বিজেপিকে একেবারেই বিব্রত করছে না। বরং এই রাজ্যগুলিতে মিমের উপস্থিতিতে আখেরে ফায়দাই দেখছেন গেরুয়া শিবিরের সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। উত্তরপ্রদেশে মিমের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে উন্নাওয়ের সাংসদ স্পষ্ট বলে দেন, ‘ও তো ঈশ্বরের আশীর্বাদ। ঈশ্বর ওঁকে আরও শক্তি দিন। ও আমাদের বিহারে সাহায্য করেছে, এরপর উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলাতেও করবে।’
প্রসঙ্গত, বিহার ভোটে ‘সাফল্যে’র পরই বাংলার দিকে নজর দিচ্ছে ওয়েইসির দল এআইএমআইএম। বাংলায় মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে টার্গেট করেছে তারা। যা আসলে ভোট কাটাকাটির অঙ্কে সুবিধা করে দিতে পারে বিজেপির। আর তা বুঝতে পেরে আগে থেকেই সতর্ক তৃণমূল। ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে মিম-এর আঁতাঁতের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছেন, বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে বাংলার সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে আসছে মিম। সেখানেই ক্ষান্ত না থেকে ওয়েইসির দলে রীতিমতো ভাঙনও ধরিয়েছে তৃণমূল। মিমের বেশ কিছু নেতা সদলবলে যোগ দিয়েছেন শাসকদলে। এমনকী, দলের গোটা যুব সংঠনটাই শামিল হয়েছে তৃণমূলে। আসলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওভাবেই ‘সাম্প্রদায়িক’ ওয়েইসিকে বাংলায় জমি তৈরি করতে দিতে চান না। কংগ্রেসও একাধিকবার মিমকে বিজেপির বি-টিম বলে কটাক্ষ করেছে। সাক্ষী মহারাজের বয়ানে কার্যত সেই অভিযোগই স্বীকৃতি পেল।