রাজ্যে প্রচণ্ড গরম পড়ার আগেই ভোটপ্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন। বুধবার কলকাতা সফরে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, চলতি মাসেই রাজ্যে আসবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পৌঁছন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। বুধবার কলকাতায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারাও। সেখানেই সুদীপ জৈন ইঙ্গিত দিয়েছেন, সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে কমিশন। এপ্রিলের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করবে তারা। শুধু বাংলা নয়, অন্য ৪ রাজ্যেও একই সঙ্গে চলবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনী প্রক্রিয়া সাধারণত শুরু হয় মার্চের প্রথম দিকে। মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহে হয় ভোটগণনা। গত কয়েকটি নির্বাচনে এই ধারা বজায় রয়েছে। তবে এপ্রিলের শেষের দিকে প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল দশা হয় রাজনৈতিক নেতা, ভোটকর্মী ও ভোটারদের। মে-র প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ থাকলে পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে। সেক্ষেত্রে মার্চের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় ভোটপ্রচার হলে পরিস্থিতি সুবিধা সব পক্ষেরই।
রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিসের এক কর্তার কথায়, ‘গতবারের মতো এবারও যদি রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচন হয়, সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই সম্ভাব্য সব রকম প্রস্তুতি শুরু করে দিতে বলা হয়েছে। অপরাধের সংখ্যা শূন্যতে নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে কোনওরকম ভুল যেন না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।’
আপাতত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে শুরু করেছে কমিশন। সেই কাজ শেষ হলেই এবার রাজ্যে কত সংখ্যক বাহিনীর প্রয়োজন তা নিশ্চিত করবে কমিশন। সিইও অফিসের ওই আধিকারিকের কথায়, ‘স্বাভাবিকভাবেই বিগত নির্বাচনগুলোর থেকে এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চসংখ্যক বাহিনী নিয়োগ হবে। কমিশন এবার এমন একটি বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে যাতে নির্ভয়ে সকলে ভোট দিতে পারেন। স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হলেই বাহিনীর সংখ্যাও নির্ধারিত হয়ে যাবে।’