ক্যাপিটল বিল্ডিং হামলার জেরে রীতিমতো বিপাকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বুধবার তাঁকে ‘ইমপিচ’ করল মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’।
এদিন ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৩২টি৷ বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৭টি৷ এবার ইমপিচমেন্ট বা ট্রাম্পকে পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হবে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে এই হাউসে সহজেই প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ বা অপসারণ করার প্রস্তাব পাশ হবে তা জানাই ছিল। কিন্তু সেনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় এই মুহূর্তে ট্রাম্পের জন্য পরিস্থিতি খুব মারাত্মক নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মার্কিন কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগে ইমপিচ করা হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে৷ সেবারও নিম্নকক্ষে অপসারণের প্রস্তাব পাশ হলে তা আটকে গিয়েছিল সেনেটে। কিন্তু, অমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যাঁকে দু’বার ইমপিচ করা হল।
এদিকে, অপসারণের এই বিষয়ে হাউসের স্পিকার তথা ট্রাম্পের অন্যতম সমালোচক ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেস প্রমাণ করে দিল যে আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নন। মার্কিন প্রেসিডেন্টকেও আইন মেনে চলতে হবে।’ অমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট জো বিডেনও তোপ দেগে বলেন, ‘ক্যাপিটল হিলে হামলা আসলে মার্কিন গণতন্ত্রের উপর বেনজির আক্রমণ। এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমি আশা করি সেনেটেও তাঁকে ইমপিচ করা হবে।’ এহেন পরিস্থিতিতে খানিকটা যেন বাধ্য হয়েই ক্যাপিটল হামলার নিন্দা করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে সরগরম মার্কিন রাজনীতি।