সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের আপডেটেড প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে উদ্বেগ। কতটা গোপন থাকছে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ও মেসেজ, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য ও মেসেজ ১০০ শতাংশ নিরাপদ। এবার খবর এল, হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠাতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় প্যানেল। সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে যে শোরগোল উঠেছে তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে সেখানে। ওই সূত্রের দাবি, খুব শীঘ্রই হয়ত বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলিকে তলব করতে চলেছে সংসদীয় প্যানেল।
হোয়াটসঅ্যাপ কিছুদিন আগেই যে প্রাইভেসি পলিসি আপডেট করেছে, তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ এবং ডামাডোল চলছে বিশ্ব জুড়ে। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত মেসেজ ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগও উঠেছে হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। যদিও এই অভিযোগকে খারিজ করে দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ পাল্টা জানিয়েছে, গ্রাহকদের তথ্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। সোমবারই তারা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, কোনও তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে একটা গুজব চলছে বলেও দাবি করেছে তারা। ঘটনার জেরে অনেক গ্রাহকই ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে সিগন্যাল এবং টেলিগ্রাম নামক অন্য দু’টি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ও মেসেঞ্জার অ্যাপ ডাউনলোড করছেন।
এপ্রসঙ্গে আরও একটি সূত্র জানিয়েছে, যে সংসদীয় প্যানেল গঠন করা হয়েছে তার নেতৃত্বে থাকবেন শশী তারুর। শুধু হোয়াটসঅ্যাপই নয়, ডাকা হতে পারে টুইটারকেও। প্ল্যাটফর্মগুলি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে না প্রকাশক হিসেবে, এর ব্যাখ্যাও চাওয়া হবে। তবে এই সংস্থাগুলিকে কবে ডাকা হবে, তার দিনক্ষণ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আগামী সপ্তাহেই এই সংস্থাগুলোকে তলব করতে পারে সংসদীয় প্যানেল, সূত্র অনুযায়ী ইঙ্গিত মিলেছে এমনটাই।