কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে তোলপাড় দেশ। প্রবল শৈতপ্রবাহ, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লী সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কৃষি আইনের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অমৃতসর থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় ট্র্যাক্টরের কনভয়। কিষাণ-মজদুর সংঘর্ষ কমিটির ব্যানারে ওই কনভয় ২৬ জানুয়ারি দিল্লীর ট্রাক্টর মিছিলে অংশ নেবে। ২০ জানুয়ারির মধ্যে পাঞ্জাবের আরও নানা জায়গা থেকে যত বেশি সংখ্যক ট্র্যাক্টর দিল্লীতে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। কৃষক ইউনিয়নগুলি বলেছে, যাঁরা ট্র্যাক্টর পাঠাতে পারবেন না, তাঁদের জরিমানা দিতে হবে। নয়তো তাঁরা সামাজিক বয়কটের মুখে পড়বেন। পাঞ্জাবের বিভিন্ন গুরুদোয়ারা থেকে লাউডস্পিকারে ঘোষণা করা হচ্ছে, ‘আমরা যদি এখনই না যাই, আর কখনও সুযোগ পাব না। আমাদের অধিকারের জন্য লড়তেই হবে।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কয়েকটি পিটিশনের শুনানি হয়। সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া তিনটি আইন স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। কৃষকদের ক্ষোভের কথা শোনার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলি বলে, কমিটির চার সদস্যই অতীতে কৃষি আইনের পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন। সুতরাং আগামী ২৬ জানুয়ারি দিল্লীতে ট্র্যাক্টর মিছিলের কর্মসূচী পালিত হবেই। এদিকে মোদী সরকার ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে, ট্র্যাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তাদের বক্তব্য, ২৩ তারিখে দিল্লীতে কুচকাওয়াজের রিহার্সাল হবে। ২৮ জানুয়ারি শহরে শোভাযাত্রা করবে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর। ২৯ জানুয়ারি হবে বিটিং দ্য রিট্রিট। ৩০ জানুয়ারি পালিত হবে ‘শহীদ দিবস’। এই অনুষ্ঠানগুলিতে বিঘ্ন ঘটলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি তো হবেই, সেই সঙ্গে সারা দেশই অস্বস্তিতে পড়বে। সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতিরা কৃষক সংগঠনগুলিকেও নোটিশ পাঠিয়েছেন।