তিন বছর ধরে শুধু শোভন বৈশাখীকে এবং বৈশাখী শোভনকে পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছে তারা। এখন দলের দায়িত্ব পেলেন ভেবে দেখুন। এতদিন যারা ওই এলাকায় বিজেপি করছিল কী অবস্থা সেই নেতাদের। এখন তাদের তাঁর বান্ধবীর পায়ে তেল মাখাতে হবে। সোমবার শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপির হয়ে প্রথম মিছিল করার পরেই পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের জনসভা থেকে এভাবেই তাঁকে বিঁধলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে শোভনকে বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ‘নামছি নামছি’ করে দেড় বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরে সোমবার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল করেন শোভন। গোলপার্ক থেকে মিছিল করে গিয়ে সেলিমপুরে সভা এবং সাংবাদিক বৈঠক। তিন কর্মসূচীতেই বারবার তৃণমূলকে পালা করে আক্রমণ করেন শোভন ও বৈশাখী। আর সে সবের শেষেই তৃণমূলের দিক থেকে ধেয়ে এল কটাক্ষ— ‘শোভন হচ্ছেন বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি’। এমনটাই বলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল।
প্রসঙ্গত, একটা সময় পর্যন্ত খুবই জনপ্রিয় ছিল ‘গ্ল্যাক্সো’ ব্র্যান্ডের বেবি ফুড। সেই মিল্ক পাউডারের বিজ্ঞাপনে নাদুসনুদুস যে শিশুকে দেখা যেত তাকে কেন্দ্র করেই ‘গ্ল্যাক্সো বেবি’ শব্দবন্ধ তৈরি হয় বাংলায়। কুণাল তার সঙ্গে তুলনা করেই শোভনকে কটাক্ষ করলেন। তাঁর কথায়, ‘উনি তো বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি। গত দেড় বছর ধরে উনি বৈশাখীকে আর বৈশাখী ওঁকে পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। এখন তাঁর ওপরেই কি না পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
এরপরেই কুণাল ঘোষের সংযোজন, ‘বিজেপি কর্মীদের কথা ভাবলে খারাপ লাগে। তাঁদের এখন নেতার সঙ্গে নেতার বান্ধবীর পায়েও তেল মাখাতে হবে।’ স্বাভাবিল ভাবেই কুণালের এই বক্তব্যে সভায় হাজির তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাসির রোল ওঠে। কুণালের কটাক্ষ, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈশাখী ছাড়া হাঁটতে পারে না। বৈশাখীর পা ফুললে শোভন ঘর থেকে বেরোয় না।’