ফি বছরেই স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মনীষীদের জন্মদিন উদযাপনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন কর্মসূচী থাকে। কিন্তু একুশের ভোটের আগে বাংলার চিরস্মরণীয় এই ব্যক্তিত্বরাই যেন হয়ে উঠছেন রাজনৈতিক লড়াইয়ের একেকটা অংশ। বাঙালি আবেগকে উস্কে দিতে কখনও রবীন্দ্রনাথ বা বিবেকানন্দ, তো কখনও নেতাজি— খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের কন্ঠে শোনা যাচ্ছে বাংলার মনীষীদের নাম। এরই মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯ তম জন্মদিনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে বসলেন ‘মনীষী নিয়ে রাজনীতি করাটা একান্ত প্রয়োজন।’
স্বাভাবিকভাবেই দিলীপের বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। তবে নিজের এই বক্তব্যের নেপথ্যে যুক্তিও খাঁড়া করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘মনীষীদের নিয়ে পলেটিক্স হওয়া উচিত। বাংলা বাঁচবে তাহলে। এই সব চোর ডাকাত তোলাবাজদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে মনীষীদের আদর্শ প্রচার দরকার।’ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল অভিযোগ জানিয়ে আসছে যে, বাংলার মনীষীদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগরদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঙালির আবেগকে ছোঁয়ার লক্ষ্যে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার দিলীপের মন্তব্যে সেই অভিযোগ সত্যি বলেই প্রমাণ হয়ে গেল।