দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন অখিল গিরি।
এই প্রসঙ্গে অখিল গিরি বলেন, ‘দীঘা শঙ্করপুর ডেভলপমেন্ট অথারিটির কাজ থমকে আছে। শিশির অধিকারী সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন না। সেই কারণেই তাঁকে সরানো হল।’ তৃণমূলের তরফে কুনাল ঘোষ বলেন, ‘এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। শিশিরদা বর্ষীয়ান নেতা। এই বয়সে, করোনার মধ্যে তাঁর পক্ষে ছোটাছুটি করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অখিল গিরি আরও বলছেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ কোনও কারণই নয়, শিশিরবাবু সাম্প্রতিক কালে কোনও বৈঠক ডাকেননি, কাজ করেননি। সক্রিয়তার অভাবে কাজ আটকেছিল।’ যদিও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, তবে দূরত্বের কথা অস্বীকার করছে না কেউই। বলা হচ্ছে, শুভেন্দু-সৌমেন্দু দল ছা়ড়লেও একটিও শব্দ খরচ করেননি শিশিরবাবু। সেই নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল দলের অনেকই। সব মিলিয়েই এই পথ বেছে নেওয়া।
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে রাজ্যের দূরত্ব বাড়ছে। অধিকারী পরিবারের বাকি তিনজন, অর্থাৎ শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন তাঁরা দিদির সঙ্গেই রয়েছেন। কিন্তু শাসকদলের কোনও সভায় বা মিছিলে তাঁদের দেখা মেলেনি। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই দাবি করেন, অধিকারী পরিবারের বাকি তিন সদস্যও তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন। কিছুদিন আগেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেয় রাজ্যের পুর দফতর। আর এর পর শিশির অধিকারীকে সরানো হল দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে।