কোভিড আবহের মধ্যেই দেশবাসীর কাছে আনকোরা আতঙ্ক হয়ে ধরা দিয়েছে বার্ড ফ্লু। সেই প্রসঙ্গে ফের বিজেপিকে কটাক্ষ করল শিবসেনা। বার্ড ফ্লুকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে। এবার এই ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে উদ্ধব ঠাকরের দল প্রশ্ন তুলেছে – এর পিছনেও কি পাকিস্তানি, খালিস্তানিরা আছে ? তাদের মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে এভাবেই তারা আক্রমণ করল কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলনে বহিরাগত শক্তির হাত থাকার অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্র। সেই অভিযোগকেই ফের নিশানা করেই ফের মোদী সরকারকে কড়া কথায় বিঁধল শিবসেনা।
তাদের মুখপত্রের সম্পাদকীয় অনুযায়ী শিবসেনার দাবি, “নতুন কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মধ্যেই হাজির হয়েছে নতুন বিপদ বার্ড ফ্লু। সরকারি তরফে দাবি করা হয়েছে, কৃষকদের আন্দোলনের পিছনে নাকি হাত রয়েছে পাকিস্তানি, খালিস্তানি, চিনা, নকশাল এবং মাওবাদীদের। তবে বিজেপির মুখপাত্ররা এখনও এটা জানাননি, মুরগি ও অন্য পাখিদের রহস্যময় মৃত্যুর পিছনেও খালিস্তানি, পাকিস্তানি, নকশালদের কোনও হাত রয়েছে কিনা।” সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, মুরগী ও মুরগীর ডিম সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গ্রামাঞ্চলে। এর একটা নিজস্ব অর্থনীতি রয়েছে। নতুন কৃষি আইনে ডিম বিক্রেতাদের এই অর্থনীতির কোনও স্থান নেই। কর্পোরেটদের সঙ্গে ডিম, মুরগী ও বার্ড ফ্লু-র কোনও সম্পর্ক নেই। “তাহলে এই কৃষক ও তাঁদের মধ্যে মিশে থাকা পোলট্রির কর্মীদের কেন তারা সমর্থন করবে ?” প্রশ্ন উদ্ধব ঠাকরেদের। বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্ক আরও বাড়তে থাকলে মুরগীর মাংস ও ডিমের বিক্রি আরও কমবে। তার ফলে একে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অর্থনীতিও প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী শিবসেনা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র-সহ দেশের ১০টি রাজ্যে হানা দিয়েছে বার্ড ফ্লু। আক্রান্ত রাজ্যগুলিতে বিশেষ তদন্তকারী দল পাঠিয়েছে কেন্দ্র। জারি হয়েছে আগাম সতর্কতা। ঠিক কী কারণে এটি ছড়াচ্ছে সেটিকে চিহ্নিত করে যত দ্রুত সম্ভব তা আটকানোই এখন লক্ষ্য। সেজন্য কোনও ভাবেই যাতে কোথাও বার্ড ফ্লু দেখা দিলে তা পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখছে সরকার।