আবির্ভাবেই সুস্বাস্থ্যের দিশা দেখাচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। মছলন্দপুরের বৃদ্ধ ফলওয়ালা, কামারহাটির শিশু বা চুঁচুড়ার দুই প্রৌঢ়া- কঠিন রোগের সঙ্গে যুদ্ধে দিশাহারা হয়েছিলেন সকলে। কারণ আর্থিক অনটন। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথীর কল্যাণে এখন সকলেই আশার আলো দেখেছেন।
চুঁচুড়ায় কঠিন অসুখে ভুগছিলেন দুই বৃদ্ধা। নিজে উদ্যোগ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দিয়েছেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। সোমবার চুঁচুড়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুমিতা পালের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ইলার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে তিনি অনেকদিন ধরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসার বিপুল খরচ সামলাতে না পেরে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর সৌমিত্র ঘোষের। ওই ওয়ার্ডেরই সুমিতা পাল যকৃত ও কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। তিনিও সৌমিত্রের কাছে যান। সৌমিত্র পুরো ঘটনা জানান বিধায়ককে। এর পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাঁদের দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা তাঁর উদ্যোগের বাস্তবায়ন করছি।’
কামারহাটির অস্মি পালের বয়স মাত্র ছ’বছর। ছোট্ট শরীরে বাসা বেঁধেছে ব্রেন টিউমার। বাবা দীপেন পুলকার চালান। কিন্তু মেয়েকে কোথায় নিয়ে যাবেন চিকিৎসার জন্য, ভেবে কুল পাচ্ছিলেন না। কিন্তু কামারহাটি পুরসভার মাধ্যমে অস্মির মা তাপসীর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। দীপেন-তাপসী জানাচ্ছেন, মেয়েকে নিয়ে কলকাতার মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। ক্লাস ওয়ানে পড়ে অস্মি। গত মাস চারেক ধরে ভুগছে। গত সপ্তাহেই ব্রেন টিউমারের কথা জানা যায়। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন। কিন্তু ছবির জন্য কার্ড হাতে পাননি। কামারহাটি পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে সে খবর পৌঁছতেই জরুরি ভিত্তিতে কার্ড করিয়ে দেওয়া হয়। তাপসী বলেন, ‘মেয়ের অপারেশনের জন্য অন্তত চ’লাখ টাকা দরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়ে গিয়েছি। এ বার মেয়েটার চিকিৎসা করাতে সুবিধে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’