বিতর্কিত ৩ কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্টে। সঙ্গে কৃষি আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করল দেশের শীর্ষ আদালত।
কোনও কমিটির সঙ্গে কথা নয়, সম্পূর্ণ ভাবে আইন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। এমনই অবস্থান নিয়েছেন কৃষকরা। কিন্তু আইন তিনটির বৈধতা খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া ছাড়া পথ নেই, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত একটি বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়া। আইন স্থগিত রাখার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। কিন্তু অনির্দিষ্ট কালের জন্য আইন স্থগিত রাখা যায় না। কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত একটি বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়া, যাতে বিষয়টি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা মেলে।
কৃষি আইনের বৈধতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে সমস্যার সমাধানই লক্ষ্য। তাই বিশেষ কমিটি গড়ে কৃষকদের কথা শোনা হবে। মঙ্গলবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আইনের বৈধতার নিয়ে যেমন উদ্বিগ্ন তারা, তেমনই মানুষের জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষার দায়ও রয়েছে, একটানা আন্দোলনের প্রভাব যার উপর পড়েছে। কোনও আইন স্থগিত রাখার ক্ষমতাও তাদের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ কমিটি গড়তে পারে আদালত, যেখানে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন কৃষকরা।
সোমবার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ জানায়, কৃষক বিদ্রোহ মেটাতে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। একগুঁয়েমি করে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রের ভূমিকায় শীর্ষ আদালত ‘হতাশ’ বলেও মন্তব্য করেন বোবদে। এরপর আজ মঙ্গলবার কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।