আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে বিজেপিকে তুলোধনার পাশাপাশি ১০-১২ জানুয়ারি স্বামীজির জন্মদিবস উপলক্ষ্যে বিবেক চেতনা যাত্রার ঘোষণা করেন তিনি। তিনি বলেন, “বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণকে কেউ যদি সত্যিকারের স্মরণ করে থাকেন তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতারা চৈতন্যদেবের জন্মস্থান সম্পর্কে অবগত নন। চৈতন্যদেব কোথায় কোথায় গিয়েছেন জানেন না তাঁরা। ভোটের লক্ষ্যেই রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দের নাম নিচ্ছে বিজেপি।”
পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলা ভাষা এবং বাংলার মনীষীদের সম্মানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু উদ্যোগ নিয়েছেন। এরপর গত ১০ বছরে বিবেকান্দের স্মৃতিতে রাজ্যের তৃণমূল সরকার কী কী উদ্যোগ নিয়েছে, এক এক করে তাও তুলে ধরেন ব্রাত্য বাবু।
প্রথমত, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতি বছর স্বামীজির জন্মদিনে রাজ্যে বিবেক চেতনা উৎসব পালিত হয়। এছাড়াও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিবেক এক্সপ্রেস শুরু করেছিলেন। ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজারহাটে ‘বিবেকতীর্থ’ গড়ে উঠছে। এছাড়াও, স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতার নাম মেয়েদের জন্য সাহসিকতার পুরস্কার চালু করছে রাজ্য সরকার।
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। স্বামী বিবেকানন্দের মেরিট কাম মিন্স বৃত্তির অধীনে, অর্থনৈতিক ভাবে বঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের তাদের কোর্সের উপর নির্ভর করে মাসিক ন্যূনতম ১০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮০০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়াও, দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের সঙ্গে রেলস্টেশনের সংযোগকারী স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়েছে, যার নামকরণ হয়েছে দক্ষিণেশ্বর রানী রাসমণি স্কাইওয়াক। রামকৃষ্ণ এবং সারদা মিশন চালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বশাসন এর ক্ষমতা এবং বিশেষ মর্যাদাও দিয়েছে রাজ্য সরকার।
স্বামী বিবেকানন্দের পৈত্রিক বাড়ি ও তার সংলগ্ন অঞ্চল অধিগ্রহণ করে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলেও দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারই। অন্যদিকে, ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে বাগবাজারে মায়ের বাড়ির সংস্কার করা হয়েছে। এই বাগবাজারেই ভগিনী নিবেদিতা বাড়ি অধিগ্রহণ করে হেরিটেজ তকমা দিয়ে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। দুই কোটি টাকা ব্যয় করে ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত দার্জিলিঙের রায় ভিলারও সংস্কার করে তুলে দেওয়া হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে। এমনকি, স্বনির্ভর দফতরের স্বনির্ভর প্রকল্পের নাম স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্প রাখা হয়েছে।