ফের টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করার কড়া খেসারত দিতে হল এক পাইলটকে। গো এয়ারের এক সিনিয়র পাইলটের ছাঁটাইয়ে উঠেছে প্রশ্নচিহ্ন। গত বৃহস্পতিবার করা এক টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে ‘নির্বোধ’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। পরে অবশ্য পোস্ট মুছে দিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন সংস্থার সিনিয়র পাইলট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই পোস্টের জেরেই চাকরিই খুইয়ে বসলেন ওই ব্যক্তি। উল্লেখ্য, গত বছরের জুনেও বিতর্কিত টুইট করায় চাকরি হারিয়েছিলেন গো এয়ারের আরেক পাইলট। প্রশিক্ষণরত ওই পাইলটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সীতা এবং হিন্দুত্ব নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করার। যদিও পরে দেখা যায়, টুইটটি একই নামের অন্য এক ব্যক্তি করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মিকি মালিক নামের ওই পাইলট টুইট করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নির্বোধ। আমাকেও পালটা নির্বোধ বলতেই পারেন আপনারা। অসুবিধা নেই। আমার কিছু বলার থাকবে না। কেননা আমি তো প্রধানমন্ত্রী নই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নির্বোধই।’’ স্বাভাবিকভাবে পোস্টটি নিয়ে বিতর্ক ছড়াতে খুব দেরি হয়নি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে টুইটটি মুছেও ফেলেন মিকি। পরে আরেকটি টুইট করে ক্ষমাও চেয়ে নেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে করা টুইটের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। অন্য কোনও আক্রমণাত্মক টুইট থেকেও যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগে সে জন্যও ক্ষমা চাইছি। তবে আমার টুইটগুলি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। এর সঙ্গে গো এয়ারের কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক নেই।’’ পরে অবশ্য তাঁর অ্যাকাউন্ট লকও করে দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু এতেই রেহাই পেলেন না ওই বিমানচালক।তিনদিন যেতে না যেতেই শনিবার তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় ওই এয়ারলাইন্স সংস্থা। জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়ে চলে তারা। ‘‘গো এয়ার এসব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স মেনে চলে। এটা সব কর্মীদের জন্যই বাধ্যতামূলক, তারা যেন সংস্থার কর্মীদের জন্য যা নিয়ম ও নীতি তা মেনে চলে। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আচরণও আছে। কোনও কর্মীর ব্যক্তিগত মতের দায় সংস্থার নয়।’’ জানিয়েছে সংস্থার এক মুখপাত্র।
