অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষায় পড়েছে ইতিচিহ্ন। আগামী ১৬ই জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে করোনা টিকাকরণ। যার প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে প্রশাসন, বয়স্ক নাগরিকদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটও প্রস্তুত এই ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়ে, যার নাম ‘কোভ্যাক্সিন’। তবে এই টিকার যোগান যেন পর্যাপ্ত ও যথাযথ থাকে। সেরাম সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালার নজর ও মনোযোগ এখন সেদিকেই।
তবে শুরুতে সরকার কত ডোজ নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুনাওয়ালার কাছে। এখনও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই তাঁর হাতে। ইতিমধ্যে অবশ্য ৫০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি রেখেছে সেরাম। যা সরকারকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা। তিনি আরও বলেছেন, ‘কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে, কত রাজ্য কত ডোজ নেবে। সেই অনুযায়ী তালিকা তৈরি হবে। তারপর বিভিন্ন রাজ্যে তা পাঠানো হবে। সরকারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্য ২০০ টাকা। প্রাইভেট মার্কেটে সেটাই হবে প্রায় ১ হাজার টাকা।’
প্রসঙ্গত, আপাতত প্রতি মাসে ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন পুনাওয়ালা। না হলে যোগানে ঘাটতি দেখা দেবে। কারণ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন চেয়েছে ভারতের কাছে। পুনাওয়ালার মতে, ভারত ও বিভিন্ন দেশে সম অনুপাতেই ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হবে। ঠিক এই কারণেই দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের ভ্যাকসিন পেতে পেতে ৩ থেকে ৪ বছর লেগে যাবে বলে মত পুনাওয়ালার। ‘ভারতের জনসংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ৫০ মিলিয়ন ডোজ বিদেশে পাঠালে, দেশের জন্যও অন্তত ৩০–৪০ মিলিয়ন ডোজ প্রস্তুত রাখতে হবে। এইভাবে চললে ৮০–৯০ শতাংশ মানুষের ভ্যাকসিন পেতে ৩–৪ বছর লাগবে।’ জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য এই ভ্যাকসিন থেকে আগামী অর্থবর্ষে সেরাম ইনস্টিটিউটের আয় যে অনেকগুণ, সে বিষয়ে নিশ্চিত সেরাম এর সিইও।