ভোটযুদ্ধের প্রাক্কালে রীতিমতো সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। শুরু হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধও। তাছাড়াও প্রায়শ শাসকদল-বিরোধী সংঘর্ষে ছড়াচ্ছে উত্তাপ।
এবার তার সাক্ষী থাকল নন্দীগ্রাম। তৃণমূল-বিজেপি রেষােরেষিতে নন্দীগ্রাম ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গত শুক্রবার জনসভার দিন তৃণমূলের পতাকা, ব্যানার, ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঠিক পরের দিন পাল্টা বিজেপির পতাকা ছেড়া এবং শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নন্দীগ্রামে। এবার বিজেপির ব্যাজ পরা এক যুবকের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল বোমা। তাঁকে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজেপির তরফে যদিও দাবি করা হয়েছে, এটি শাসকদলের ষড়যন্ত্র। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, সমীরণ গিরি নামে ওই যুবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ।
এবিষয়ে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এদিন নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি গ্রামে ফুটবল খেলা হচ্ছিল। তখনই মাঠের পাশে দাঁড়ানো সমীরণের ব্যবহারে সন্দেহ জাগে কয়েকজনের। তাঁর বুকে তখন বিজেপির ব্যাজ লাগানো ছিল। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে তাঁর ব্যাগে তল্লাশি চালালে দুটি বোমা পাওয়া যায়। খবর যায় পুলিশে। গ্রেফতার করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। সমীরণের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি বোমাই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে নন্দীগ্রাম থেকে টেঙুয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলের শেষে একটি পথসভাও হয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন রাস্তার দু’পাশে লাগানো বিজেপির দলীয় পতাকা, ফেস্টুন পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল সমর্থকরা। এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান। ‘তৃণমূলের লোক কেন বিজেপির পতাকা ছিড়তে যাবে? বিক্ষুব্ধ বিজেপির লোকেরা এই কাজ করেছে। নিজেদের মধ্যে গোলমালের দায় তৃণমূলের ওপর চাপাতে চাইছে।’ জানিয়েছেন সুফিয়ান।