হিংসা, মারামারি নয় কিংবা দল ভাঙানোর রাজনীতি নয়। উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই ফের বাংলার মসনদে বসাই লক্ষ্য বলে বারবার দাবি করেছে তৃণমূল। সোমবার নদিয়ার রানাঘাটের সভামঞ্চ থেকে উন্নয়নের অস্ত্রেই শান দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের দিকে ছুঁড়লেন চ্যালেঞ্জ।
বক্তব্যের শুরুতেই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে পারদ চড়ান মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বলছি, মতুয়ারা সবাই নাগরিক। নমঃশূদ্ররা সবাই নাগরিক। কে কার নাগরিকত্ব কাড়তে পারে, অত সহজ!’ মমতা বলেন, ‘ওরা আমাকে একটু একটু ভয় পায়’। এর সঙ্গেই তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, ‘ভোট কাছে এসেছে বলে ওরা বলছে চাকরি, দেবে,বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দেব। ভোট মিটতেই ডুগডুগি বাজিয়ে চলে যাবে। কাউকে কিছুই দেবে না।’ এপ্রসঙ্গে তিনি বিজেপিকে ‘মিথ্যার অমাবস্যা’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি।
মমতা বলেন, ‘এনপিআর, এআরসি হবেনা, নিশ্চিন্তে ঘুমোন মায়ের কোলে।’ মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বার্তা, মানুষের ক্ষতি করে কোনও কাজ করব না। মতুয়াদের জন্য বোর্ড করে দিয়েছি। নমশূদ্রদের বোর্ড করেছি।’ রাজবংশী থেকে সাঁওতালীদের জন্যও যে সরকার কাজ করেছে তা জানান মমতা। স্পষ্ট বলেন, ‘মানুষের ক্ষতি করে কোনও কাজ করব না।’
এদিন ফের একবার বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে তুলধোনা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলার বাইরে থেকে অবাঙালি নেতারা আসছেন’। নাম না করে তিনি বুঝিয়ে দেন বিজেপি এদের বেছে বেছে নিয়ে আসছে। মমতার অভিযোগ, এঁদের হাত দিয়ে বিজেপি ৫০০০ টাকা দিয়ে ভোট কিনছে! এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘ভোট কিনতে বিজেপি এসব করলে, ‘টাকা নিয়ে নেবেন, ভোট দেবেন না। ওটা জনগণের টাকা।’