বিহারে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫টি দখলের পাশাপাশি মুসলিম ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)-এর বিরুদ্ধে। তারপরই বিজেপির সুরেই ‘এ বার বাংলার পালা’ বলে হুঙ্কার ছেড়ে একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ওয়েইসি। কিন্তু এবার সেই মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)-এর আরও এক শীর্ষ নেতাকে টেনে আসাউদ্দিনকে ধাক্কা দিল তৃণমূল। শনিবার তৃণমূল ভবনে মিমের কার্যকরী সভাপতি তথা সাংগঠনিক প্রধান শেখ আব্দুল কালামের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সাংসদ শান্তনু সেন।
এর আগে বাংলায় মিমের প্রধান মুখ আনোয়ার হাসান পাশা-সহ একাধিক নেতা যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বাংলার সর্বধর্মের সহাবস্থানকে বিভাজিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই মমতার হাত শক্ত করতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁরা। তারপর দলের যুব সংগঠনও হাঁটে সেই পথে। তৃণমূলে যোগ দিয়ে মিমের বাংলার যুব সভাপতি তথা অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট খেলা ক্রিকেটার সফিউল্লা খানের বলেছিলেন, ‘আমরা যদি এ রাজ্যে আলাদাভাবে প্রার্থী দিই, নিজেদের দলকে জেতানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি, তাহলে বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা চাই না, বাংলায় ধর্মীয় ভেদাভেদকারী বিজেপি ক্ষমতায় আসুক। তাই আমরা তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে লড়াই করব। তাতে সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি হবে না, একত্রিত থাকবে।’