আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ঘাসফুল শিবিরই ফের মসনদে বসবে নাকি ক্ষমতার পালাবদল হয়ে বিরোধী বিজেপি দখল নেবে বাংলার? তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা। এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিজের বুথে একজন দলীয় সৈনিক হিসাবে কাজ করার নির্দেশ দিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে জেলা মহিলা তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মহিলা তৃণমূল সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এদিন তিনি কর্মীদেরও কড়া বার্তা দেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে যত বড় নেত্রীই হোন না কেন নিজের বুথে সেনানী হিসেবে কাজ করবেন।’ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাপ্রকাশ করেন চন্দ্রিমা। তাঁর দাবি, ‘মহিলারা এই সরকারকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনবে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই দলবদল প্রসঙ্গে বিশেষ আমল দিতে নারাজ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘এটা গণতান্ত্রিক দেশ। যার যেকোন রাজনৈতিক দল করার অধিকার আছে। তিনি সেটা করতেই পারেন বা যেতে পারেন।’ তার পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নেন চন্দ্রিমা। তাঁর কটাক্ষ, ‘কে কী প্রলাপ বকছে তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই। মাথাব্যাথা নেই মানুষেরও। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসেন। তাঁকেই তাঁরা এবার আবারও মুখ্যমন্ত্রী করবেন।’
উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই যে তৃণমূল এবার ভোট বৈতরণী পার করবে, তাও স্পষ্ট চন্দ্রিমার গলায়। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নকে ইস্যু করেই এবার তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে লড়বে। নির্বাচনের আগে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এটা আগে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কাউকে দেখেছেন? সেটা করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে সরকারের যে রিপোর্ট কার্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করেছেন, সেটাই তো শ্বেতপত্র।’