আদি বনাম নব্য কোন্দলে নন্দীগ্রামে ভেস্তে গেল শুভেন্দুর জনসভা। গেরুয়া শিবিরে আসতে চাওয়া নেতাদের যোগদানের পালাও বন্ধ হয়ে গেল মাঝপথে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের দেখা গেল, তাঁরা মাইক বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন!
দলবদলের পর এদিন নন্দীগ্রামে শক্তি প্রদর্শন করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। ডেকেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। সভায় যোগ দিতে এক বছর পর নন্দীগ্রামে ঢুকলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এত সব প্রস্তুতির পরও না দেখানো গেল শক্তি, না হল ‘মেগা দলবদল’। সভা শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই গোলমাল।
মঞ্চে তখন বক্তব্য রাখছিলেন কৈলাস। হঠাৎ মঞ্চ তাক করে ঢিল ছোঁড়া হতে থাকে। বাইরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান। দেখা যায়, দলে দলে লোক মঞ্চের ওপর উঠে আসছেন। চেয়ার তুলে আছাড় মারতে শুরু করেন কেউ কেউ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হয় শুভেন্দুকে। জনতার উদ্দেশ্যে শান্ত হওয়ার আর্জি জানান তিনি। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
স্বাভাবিকভাবেই এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের নেতাদের দলে দলে যোগদানে রীতিমতো ক্ষিপ্ত পুরনো নীচুস্তরের বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের মঞ্চে দেখতে পেয়েই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ক্ষেপে গেছেন। সূত্রের খবর, স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের মারধর করা তৃণমূলী নেতাদেরই দলে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যার জেরেই এই পরিস্থিতি দেখা গেল নন্দীগ্রামে।