আরও বাড়ল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। নতুন বছরের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছিল তাপমাত্রা। সেই তাপমাত্রা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিনদিন এই ধরনের তাপমাত্রা থাকবে। তারপরে সামান্য করলেও শীতের আমেজ প্রায় নেই বললেই চলে। রাতের দিকে সামান্য ঠান্ডা পড়লেও দিনের বেলা গরম ভাল থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় একটুও বৃষ্টি হয়নি।
তাহলে কি পৌষে আর শীতের আমেজ পাওয়া যাবে না? আবহাওয়াবিদদের মতে বাংলা মাসের শেষে অর্থাৎ সংক্রান্তিতে কিছুটা উষ্ণতা কমতে পারে। তার আগে আগামী কয়েকদিন দেশের উত্তর-পশ্চিম এলাকার রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা কমবে। দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে বৃষ্টিপাত হবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতেও সকালের দিকে কুয়াশার প্রভাব থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে শীতের ছোঁয়া পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলেই খবর।
শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আনুমানিক ২৯ ডিগ্রি। রাতের দিকেও তাপমাত্রা ১৮ বেশি নামবে না। হাওয়া অফিসের কর্তাদের মতে, আরও কিছুদিন এই অবস্থা থাকবে। পূবালী হাওয়ার দাপটে জলীয় বাষ্প বাড়ছে। এদিন বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।
গোটা বাংলার মনের অবস্থাই এখন এই রকম। সকালে তাও কিছুটা ঠান্ডার ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে। বেলা হতেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুক্রবারও শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। এই পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শীতে বাধ সেধেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তাতেই আটকে উত্তুরে হাওয়া। ফলে ডিসেম্বরের শেষে হাড় কাঁপানো শীত উপভোগ করলেও জানুয়ারিতে পারদ চড়েছে। আর গরম বেড়েছে।