গত ১৬ নভেম্বের টানা চতুর্থবারের মতো পাটলিপুত্রের কুর্সিতে বসেছিলেন জেডিইউয়ের প্রাক্তন সুপ্রিমো। ওইদিন নীতীশের সঙ্গেই শপথ নিয়েছিলেন এনডিএ জোটের শরিক দলগুলির ১৪ জন মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেই মন্ত্রীদের মধ্যে একজন দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগ করেছেন। ফলে এক-একজন মন্ত্রীকে ৫ থেকে ৬টি দফতরের দায়িত্বভার সামলাতে হচ্ছে। গত দু’মাস ধরেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। কিন্তু নতুন মন্ত্রীদের শপথ নেওয়া হয়ে ওঠেনি। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে জেডিইউয়ের সঙ্গে বিজেপির ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। যার ফলে থমকে রয়েছে নয়া মন্ত্রীদের নিয়োগ।
বিহারে জেডিইউ-বিজেপি-হাম ও ভিআইপি’র মিলিজুলি সরকারে যে ‘অল ইন নট ওয়েল’ ফের একবার তা প্রকাশ্যে এল। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ না হওয়ার দায় বড় শরিক বিজেপির কাঁধেই ফের চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছুটা ব্যঙ্গের সুরে বলেন, ‘রাজ্য বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সোয়াল ও ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব বৃহস্পতিবার আমার সঙ্গে দেখা করে শুধু গল্পগুজব করেছেন। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে কোনও কথা বলেননি। দু’মাসেও মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা যায়নি। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেনি। বিজেপির তালিকা না পেলে কীভাবে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করব?’
বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব ও রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সোয়ালের বৈঠকের পরেই চর্চা শুরু হয়েছিল, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে। যদিও শুক্রবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির পক্ষ থেকে কারা মন্ত্রী হবেন, তার কোনও তালিকা এখনই পাইনি। আর বিজেপির তালিকা না পেলে মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ কীভাবে করব?’