কাছাকাছিই দুটি পৃথক জমায়েত। উঠে এল অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ। শনিবার সকালে এমন ঘটনার সম্মুখীন হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এদিন বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের ঠিক বাইরে, রাস্তার উপর, সকাল প্রায় ৯টা নাগাদ শুরু হয় একটি বিক্ষোভসভা। বিশ্বভারতীর রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রের শাসকগোষ্ঠীর মদতে বিশ্বভারতীতে দলীয় রাজনীতির অনুপ্রবেশের প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তা কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ফলে এলাকায় সাময়িক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ছড়ায় উত্তেজনাও।
আর দ্বিতীয় বিক্ষোভস্থলটি হল বিশ্বভারতীর উপাসনাগৃহ। আয়োজক স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, গত শীতের পৌষমেলার সময় স্টল করার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে ফেরতযোগ্য অর্থ জমা নিয়েছিলেন, তা এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। ‘‘গত বছরের পৌষমেলার পরে করোনা আবহে আমরা প্রবল আর্থিক সঙ্কটে পড়েছি। এ বারের শীতে অতিমারির কারণে মেলা বাতিল হয়েছে। তবুও আমাদের টাকা ফেরত দেয়নি বিশ্বভারতী। তাই আমরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।’’ জানিয়েছেন জনৈক ব্যবসায়ী।