‘ধ্বংসের রাজনীতি চলছে। বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাঁরা দল বদলাচ্ছেন, তাঁদের কোনও অ্যাজেন্ডা নেই।’ শুক্রবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঠিক এই ভাষাতেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘দেশের নিরিখে বাংলায় বেকারত্বের সংখ্যা কমেছে। মমতার নেতৃত্বে বাংলার উন্নয়ন অব্যাহত। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ঐতিহাসিক সাফল্য এসেছে।’
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে এদেশেও। এই পরিস্থিতিতেও অবশ্য বাংলাকে নিয়ে আগেই ‘পজিটিভ’ বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও বেকারত্ব নিয়ে এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারকেও তোপ দেগেছিলেন তিনি। সম্প্রতি রীতিমতো তথ্য দিয়ে বাংলা ও দেশের বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের হারের তুলনা করেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক যুব দিবসে ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘গোটা দেশে যখন বেকারত্ব কমার হার ২৪ শতাংশ, সেখানে আমাদের বাংলায় সেই হার ৪০ শতাংশ। এর অর্থই হল, বাংলায় বেকারত্ব দ্রুত কমছে। অনেক আগে থেকেই বাংলার যুবক–যুবতীরা গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছে। সেই কাজ ভবিষ্যতেও তাঁরা করে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
বাংলায় বেকারত্বের হার কমা প্রসঙ্গে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা সিএমআইই-র এক রিপোর্টের তথ্য পেশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশের নিরিখে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বাংলার বেকারত্বের হার। দাঁড়িয়েছে ৬.৫ শতাংশ। শুক্রবার তৃণমূল সেই একই কথা বিরোধীদের স্মরণ করালেন পার্থ৷ পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করে এদিন তিনি বলেন, রাজ্যে ধ্বংসের রাজনীতি চলছে৷ গণতন্ত্রে নয়, বাহুবলে বিশ্বাসের রাজনীতি আমদানি চলছে৷ বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ খবরে ভেসে থাকতে বিরোধীরা চক্রান্ত করছে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে সর্বত্র উন্নয়ন চলছে। উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কেউ এসে উন্নয়নের কথা বলছেন না। নিজেদের প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধানকে আঘাত করছে। বাইরে থেকে এসে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।