চলতি বছরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কমিশন সূত্রে খবর, ভোট এগোবে বাংলায়। যা নিয়ে যুযুধান শাসক-বিরোধী প্রত্যেকটি শিবির। আর এই ভোটের রণকৌশল কী হবে তা ঠিক করতে আজ কালীঘাটে আরও একদফা বৈঠক সারল তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটি। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সদস্যদের সাফ বললেন, “কে এল কে গেল, তাতে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই।” সেইসঙ্গে এদিন তৃণমূলের কার্যকরী কমিটিতে যোগ হল তিন নতুন মুখও।
একুশের নির্বাচনই এখন টার্গেট প্রত্যেকের। লড়াইয়ের ময়দানে প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি নন কেউ। তাই নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে শুক্রবার বিকেল ৫ টা নাগাদ কালীঘাটে বৈঠকে বসে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটি। তৃণমূল সু্প্রিমো ছাড়া সেখানে ছিলেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর।
জানা গিয়েছে, সেখানে ওর্য়াকিং কমিটিতে নতুন তিনজনের নাম ঘোষণা করা হয়। পাশপাশি, দলের নেতাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও করেন তৃণমূল সু্প্রিমো। মমতা বলেন, “কৃষি আইনের বিরোধিতা চলবে।” এই লড়াইয়ের শেষ দেখা অবধি কৃষকদের পাশে থাকবেন বলেই এদিনের বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আকারে-ইঙ্গিতে নেতাদের বুঝিয়েছেন, লাগাতার দলত্যাগের প্রভাব পড়বে না বিধানসভা নির্বাচনে।
দলত্যাগীদের গুরুত্ব দিতে বারণ করে এদিনের বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “কে এল কে গেল, তা ইগনোর করুন।” নেতাদের নির্দেশ দেন, সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। সমস্ত পরিস্থিতিতে সকলের পাশে থাকার। পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে, আগামী ১৯ জানুয়ারি পুরুলিয়ায় যাবেন তিনি। সেখানে নির্বাচনী বৈঠক সারবেন দলনেত্রী।