যোগীরাজ্যে বর্তমানে চলছে দুষ্কৃতীদের ‘জঙ্গলরাজ’। একের পর এক খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি-র ঘটনা সেখানে রোজই ঘটে চলেছে। এবার সেখানে বিষমদ পানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বুলন্দশহরের সিকান্দার কোতায়ালি এলাকার জিতগড়িতে বিষমদ পানের ঘটনায় ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও কমপক্ষে ১৫ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তাঁদেরকে পরে দিল্লী ও নয়ডার বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এলাকায় বেআইনি মদ বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানার দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন। আজ বুলন্দশহরের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, “বিষমদ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে (এনএসএ) মামলা দায়ের করা হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই জিতগড়ি গ্রামে অবৈধভাবে মদের ব্যবসা চালাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও ওই অবৈধ মদের ঠেকে জড়ো হয়ে মদপান করছিলেন বেশ কয়েকজন। মদ পানের পরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চারজন রাতেই মারা যান। শুক্রবার সকালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ভর্তি বাকি ১৫ জনের অবস্থাও খুবই আশঙ্কাজনক। ফলে মৃত্যুর মিছিলের সারি দীর্ঘ হতে পারে বলেই আশঙ্কা।
বিষমদ পানে পাঁচজনের মৃত্যুর পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকদের মদতেই রমরমিয়ে অবৈধ মদের ব্যবসা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দীক্ষিত কুমার ত্যাগী, স্থানীয় পুলিশ চৌকির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আনোখি পুরী সহ তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।