গত বুধবার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উস্কানি মূলক বক্তব্যের জেরেই মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালীন উত্তাল হয়েছিল রাজধানী ওয়াশিংটন। ভূলন্ঠিত হয়েছিল মার্কিন গণতন্ত্র, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ঘটনার জেরেই গোটা বিশ্বের কাছে মুখ পড়েছে মার্কিন মুলুকের। তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারাও দিয়েছেন কড়া প্রতিক্রিয়া। আর এই আবহে অবশেষে নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় তিনি যে আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকছেন না সেকথা এবার নিজের মুখেই বললেন তিনি। ডেমোক্রেটিক পার্টির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এখনও অভিনন্দন না জানালেও ট্রাম্প বলেছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তরে তিনি তৈরি।
ক্যাপিটলে তাঁর সমর্থকরা তাণ্ডব চালানোর পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট। ১২ ঘণ্টা পর নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়ে অবশ্য নিজের পুরনো মেজাজেরও পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রশংসা করেছেন তাঁর সমর্থকদের। তবে ঘরে-বাইরে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ৩৬০ ডিগ্রি পাল্টি খেয়ে শান্তির পথে থাকার ভিডিও বার্তাও পোস্ট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যাপিটলে অনুপ্রবেশের ঘটনাকে ‘বর্বরোচিত হামলা’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মার্কিন কংগ্রেসে ব্যাপক ভাঙচুর এবং বিশ্বনেতাদের নিন্দার একদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন অঙ্গীকার করলেন।
এদিন প্রায় ৩ মিনিটের ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, আর সব আমেরিকানের মত তিনিও এই হিংসা, অরাজকতা ও সঙ্ঘর্ষে প্রবল ক্ষুব্ধ। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ক্যাপিটল বিল্ডিং সুরক্ষিত রাখতে ও অনুপ্রবেশকারীদের বার করে দিতে তিনি দ্রুত ন্যাশনাল গার্ড ও পুলিশ ফোর্স ডাকেন। আমেরিকায় আইনি ব্যবস্থা যে কোনও পরিস্থিতিতে বজায় থাকা উচিত। ২০ জানুয়ারি দায়িত্বভার বুঝে নেবে নয়া প্রশাসন।