মুখ খোলার মাশুল! বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাসপেন্ড আরেক অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে যিনি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন, সেই অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যই এবার সাসপেনশনের কোপে। জানা গিয়েছে, তিনি বিশ্বভারতীর দুর্নীতি নিয়ে একাধিক চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে। সম্প্রতি পাঠভবনের অধ্যক্ষের নিয়োগ নিয়ে সুদীপ্তবাবুও একই অভিযোগ আনেন। আর সেই কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড হতে হল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বভারতীর একাংশ এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাঁদের অভিযোগ, অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত না করেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যা অনুচিত। তবে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার এই বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান সুতপা মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করার পর এদিনের বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্বভারতী। এই কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে বিশ্বভারতীর সবোর্চ্চ নিয়ামক সংস্থার কর্মসমিতি। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কমিটির সদস্য দুলালচন্দ্র ঘোষ, মঞ্জুমোহন মুখোপাধ্যায়, বোধিরূপা সিনহা-সহ অনান্যরা। সূত্রের খবর, এদিন মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। একটি অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের সাসপেন্ড ও অধ্যাপক সুতপা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কমিটি গঠন। সম্প্রতি পাঠভবনের অধ্যক্ষ তথা কর্মসমিতির সদস্য বোধিরূপা সিনহাকে পাঠভবনের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে ছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি তথা অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য।