‘দেশদ্রোহ’ মামলায় শেষ অবধি আজকে বান্দ্রা থানায় হাজিরা দিলেন বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। শুধু তিনিই নন, এদিন পুলিশের সামনে হাজির হয়েছিলেন তাঁর ‘ঘৃণা ছড়ানোর’ মতো কুকর্মের স্যাঙাত তথা বোন রঙ্গোলি চান্দেলও। পুলিশের সামনে আজ দু’জনেরই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। নিজেদের নির্দোষ হিসেবে দাবি করে কাঁদুনি গেয়েছেন, মানসিক অত্যাচার করার জন্যই তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও সেই কাঁদুনিতে মন ভোলেনি তদন্তকারীদের।
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠেন বলিউডে ‘বিজেপি বান্ধব’ হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রানাওয়াত। সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী থেকে শুরু করে প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতারকে নিশানা করে একের পর অপমানজনক ও বিদ্বেষমূলক টুইট করতে থাকেন। এমনকী ধর্মীয় বিষও উগরে দিয়ে নিজেকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। শেষ অবধি গত বছরের অক্টোবর মাসে বলিউডের কাস্টিং ডিরেক্টর সাহিল সাইদ কঙ্গনার বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে বান্দ্রা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বান্দ্রা আদালতের বিচারক। আদালতের নির্দেশের পরেই বান্দ্রা থানার পক্ষ থেকে তিন-তিনবার সমন পাঠানো হয় কঙ্গনাকে। কিন্তু পুলিশের সামনে হাজিরা দেওয়ার বদলে পালিয়ে বেড়াতে থাকেন তিনি। এমনকী এফআইআর খারিজের দায়ে বোম্বে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন বলিউড অভিনেত্রী। কিন্তু হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এফআইআর খারিজ না করে ৮ জানুয়ারির মধ্যে বান্দ্রা থানার তদন্তকারীদের সামনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন বোন রঙ্গোলি চান্দেলকে নিয়ে দুপুর একটা নাগাদ বান্দ্রা থানায় হাজির হন কঙ্গনা।