সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে ব্রিটেনে। যা নিয়ে আশঙ্কায় বিশ্ববাসী। বন্ধ ছিল ব্রিটেন-ভারত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। এবার ফের ব্রিটেন থেকে ২৪৬ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লীতে ফিরছে ভারতীয় বিমান। শুক্রবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির দিল্লীতে অবতরণ করার কথা।নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত ব্রিটেনে আবার শুরু হয়েছে লকডাউন সেখান থেকে যাত্রীদের দিল্লী ফেরায় ফের আতঙ্কে ভারতবাসী। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ব্রিটেন থেকে যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। যার ফলেই ২৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ব্রিটেন থেকে দেশে ফিরছে ওই উড়ানটি।
ব্রিটিশ মুলুকে করোনার নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে গত ২৩শে ডিসেম্বর ব্রিটেন এবং ভারতের মধ্যে যাবতীয় উড়ান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। বুধবার ফের ভারত-ব্রিটেন উড়ান চালু করা হয়। এর পর শুক্রবার ব্রিটেন থেকে বিমান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে মোট ৩০টি উড়ান দু’দেশের মধ্যে চলাচল করবে। এর মধ্যে ১৫টি করে বিমান ভারত এবং ১৫টি ব্রিটেনের বিমান সংস্থার উড়ান। আপাতত আগামী ২৩শে জানুয়ারি পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে।
স্বাভাবিকভাবেই এমন সিদ্ধান্ত চিন্তার ছাপ ফেলেছে দেশবাসীর মনে। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন। “অবতরণের পর প্রত্যেক যাত্রীকেই নিজখরচে কোভিড টেস্ট করাতে হবে। পাশাপাশি, ব্রিটেন থেকে ভারতের বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে সমস্ত যাত্রীকে সে দেশের কোভিড টেস্ট করতে হবে। ওই টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই উড়ানের অনুমতি পাওয়া যাবে। দেশে আসার পর প্রত্যেক যাত্রীকে ওই টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেই সঙ্গে রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও সমস্ত যাত্রীর ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকা বাধ্যতামূলক।” জানিয়েছেন হরদীপ।
রাজধানীতে ইতিমধ্যেই নতুন করোনা স্ট্রেন-এর ১৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অন্য দিকে, ভারতে ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩। স্বভাবতই এমতাবস্থায় মোদী সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে বিরোধীরা। আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল যেমন এবিষয়ে জানান, “ব্রিটেনের উড়ানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ব্রিটেনের কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের কাছে আমার অনুরোধ, ওই নিষেধাজ্ঞা যেন ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যে দেশের কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ফের কেন মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ?”