করোনায় আক্রান্ত না হলেও ব্রিটেনফেরত সমস্ত বিমানযাত্রীকে বাধ্যতামূলক ভাবে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ৭ দিন পরেও সংক্রমণের লক্ষণ না দেখা গেলেও ওই যাত্রীদের নিজেদের বাড়িতে আইলোশনে থাকতে হবে। শুক্রবার এই নির্দেশ জারি করল দিল্লী সরকার।
এ দেশে ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৭৩ জনের মধ্যে। শুধুমাত্র দিল্লীতেই সংখ্যাটা ১৩। এই আবহে তবে শুক্রবার উড়ানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। এর পর ব্রিটেন থেকে ২৪৬ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান অবতরণ করে দিল্লী বিমানবন্দরে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেজরীওয়াল। এখনই যাতে উড়ানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়া না হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কেজরিওয়ালের মতে, আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা উচিত। তাঁর এই আর্জির পিছনে যুক্তিও দিয়েছেন কেজরিওয়াবল। তিনি বলেন, “অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যে দেশের কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তা হলে উড়ানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ফের কেন মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে?”
টুইটারে এই নয়া নির্দেশিকার কথা ঘোষণা করে দিল্লোর মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন, ‘ব্রিটেনের নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের কবল থেকে দিল্লীবাসীকে রক্ষা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্রিটেনফেরত যাত্রীদের মধ্যে যাঁরা কোভিড পজিটিভ, তাঁদেরকে আইসোলেশন কেন্দ্রে রাখা হবে। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে যাত্রীদের। এর পর ৭ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে হবে।