আগামী ২০ তারিখই ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। সেই অনুযায়ী হাতে বিশেষ সময়ও নেই। অথচ, নিজের বিরুদ্ধে ঝুলে রয়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তার উপর যোগ হয়েছে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনা। শোনা যাচ্ছে, সমর্থকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে এই ঘটনার জন্যও তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তাই হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে নিজেকে আইনি সুরক্ষা দিয়ে দিতে পারেন ট্রাম্প। পদাধিকার ব্যবহার করে নিজেই নিজের সব অপরাধ ক্ষমা করার পন্থা নিতে পারেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।
সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট থাকতে থাকতেই ট্রাম্প নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ খারিজ করে দিতে চান। যে প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘সেলফ পার্ডন’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শীঘ্রই এই প্রক্রিয়া ঘোষণা করতে পারেন। ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউসের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে নাকি এসব নিয়ে আলোচনাও করে ফেলেছেন তিনি। ‘সেলফ পার্ডন’ ঘোষণা করলে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের আইনি তদন্ত করতে পারবে না পরবর্তী সরকার।
বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ক্ষমা করতে পারেন নিজেকে! – প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার আগে আইনি সুরক্ষা নেবেন ট্রাম্প
আসলে, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ধরাশায়ী হলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের হাতে রয়েছ ‘পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি’। অর্থাৎ কারও সাজা মাফ করে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা। আর এর ফলেই ক্ষমা প্রার্থনার হিড়িক পড়েছে হোয়াইট হাউসের দরবারে। এই তালিকায় বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তা বলে নিজেই নিজের সব অপরাধ ক্ষমা! ইতিহাস বলছে, এর আগে আর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমনটা করেননি।
আর মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তিই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ক্ষেত্রে নিজেই বিচারকের আসনে কখনোই বসতে পারেন না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। কিন্তু মার্কিন সংবিধানে ‘পাওয়ার অফ ক্লিমেনসি’র এক্তিয়ার স্পষ্ট করা নেই। সেক্ষেত্রে আইনি ফাঁকফোকর দিয়ে এই সুবিধা পেলেও পেয়ে যেতে পারেন ট্রাম্প।