২০১৬-তে জোট করেও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল সিপিআইএম-কংগ্রেসের। চলতি বছরেও সেই জোটের পথেই এগোচ্ছিল দুই দল। কিন্তু একুশের ভোটে কি আদৌ এক হতে পারবে হাত-হাতুড়ি? সিপিআইএম পলিটব্যুরো এবং কংগ্রেস হাইকমান্ড ইতিমধ্যেই গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছে। তারপরেও বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের পথে রয়ে গিয়েছে অন্তরায়। বৃহস্পতিবার আসন রফা নিয়ে প্রথমবার মুখোমুখি বসেই তা টের পেল দুই শিবির।
গতকাল জোটের সলতে পাকাতে আলোচনায় বসেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, বৈঠকে ১৪৫টি আসনের দাবি জানায় কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসকে এতগুলি আসন ছাড়তে নারাজ সিপিআইএম। শুধু তাই নয়, বাম শরিকদের যে এলাকাগুলিতে এখনও শক্তি রয়েছে, সেখানেও আসন দাবি করেছে কংগ্রেস। সেখানেই যাবতীয় সমস্যা! এভাবে নিজেদের ক্ষতি করে কংগ্রেসের হাত ধরতে নারাজ বাম শরিকরা।
তাদের বক্তব্য, বাংলায় যে এলাকাগুলিতে শক্তি রয়েছে, সেগুলিও ছেড়ে দিলে দলের আর অস্বস্তি থাকবে না। কর্মী-সমর্থকরাও উৎসাহ হারাবেন। শরিকদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে জোটে অনাগ্রহী সিপিআইএমও। ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেসের খাতায়-কলমে জোট হয়নি, তা ছিল নির্বাচনী সমঝোতা। সে কারণে বেশ কিছু আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইও হয়েছিল। ২০১৬ সালে সিপিআইএম লড়েছিল ১৪৮টি আসনে। ১১টি আসনে সিপিআই। আরএসপি ১৯টি আসনে। ফরওয়ার্ড ব্লক, ডিএসপি ও এনসিপি যথাক্রমে ২৫, ২ ও ১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। পাশাপাশি আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়েছিল হাত শিবিরও। তবুও প্রবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওয়ায় রীতিমত উড়ে গিয়েছিল কংগ্রেস-বাম শিবির।