গতকাল মধ্যরাতে নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে মাল্যদানের পর এদিন সকালে নেতাইয়ে এসে শহিদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই তৃণমূলের শহীদ স্মরণ সভা থেকে পাল্টা আক্রমণ শানানো হয় শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ছত্রধর মাহাতো থেকে মদন মিত্র একযোগে নেতাই প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ করেন। শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূল নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দেয়, “ওকে এখানে ঢুকতে দেব না।”
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর খোলস খুলে গিয়েছে। উনি বিজেপিতে গেলেও ইতিহাস নিয়ে যেতে পারবেন না। এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়। সবাই জানে কার নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল নেতাইয়ে। আর কারা পাশে ছিল। দল শুভেন্দুকে দায়িত্ব দিয়েছিল নেতাই দেখার। উনি তা না করে ব্যক্তিপুজো করেছেন।”
ছত্রধর মাহাতো বলেন, “২০০৮-২০০৯-এ জঙ্গলমহলে শুভেন্দু ছিল না। ও মেরুদণ্ড ভেঙে বিজেপিতে গিয়েছে। কিন্তু টাকা দিয়ে আদিবাসীদের কেনা যাবে না। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে আমার আবেদন, এখানে ওকে ঢুকতে দেবেন না। যেখানে যাবে, সেখানেই বিক্ষোভ দেখান। আমি আছি আপনাদের সাথে। ২০২১-এ দু’হাত তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করুন।”
এছাড়াও, মমতার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা মদন মিত্র এদিন হুঙ্কার ছুঁড়ে বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর নরকেও জায়গা হবে না। উনি বলছেন, নেতাইয়ে মমতা আসেননি! পাপ বাপকেও ছাড়ে না! আজ সকালে নাকি শুভেন্দু এসেছিল? পরের মিটিং-র দায়িত্ব আমায় দিন। শুভেন্দুকে ঢুকতে দেব না, কথা দিচ্ছি। দুটো মিছিল করব এখানে। ঝাড়গ্রামের ৪টে আসন আমরাই জিতব।”