তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক দলবদলের সঙ্গে সঙ্গেই বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রাম, নেতাই। ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ আজকের দিনটি এই দু’টি জায়গার ক্ষেত্রেই তাৎপর্যপূর্ণ। আর সেদিন দু’জায়গাই সাক্ষী রইল শুভেন্দু বনাম তৃণমূল তরজার। শুভেন্দুর মাল্যদানের পর শহিদ বেদি ‘শুদ্ধিকরণ’ করল তৃণমূল।
কোনও জায়গা অশুচি হলে তাকে শুদ্ধ করে সেখানে শুভ কাজ করতে হয়। শহীদ বেদীতে শুভেন্দুর পা পড়াতে তা অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল এমনই মনে করছে বাংলার শাসক দল। তাই তাকে শুদ্ধি করা আবশ্যিক ছিল। শহীদ বেদিতে মাল্যদানের আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করা হয়। গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় শহীদ বেদি।
তৃণমূলের যুক্তি, শুভেন্দু অধিকারীর মতো ‘মীরজাফর’রা এসে শহিদ বেদিকে অপবিত্র করেছে। তাই ‘শুদ্ধিকরণ’ কর্মসূচি। এরপর যদিও মাল্যদান করা হয়। মাল্যদানের পর লালগড়ের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন তাঁরা। “নেতাই থেকে পেটাই শুরু হবে”, হুঁশিয়ারি মদন মিত্রর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও খোঁচা দেন তৃণমূল ত্যাগী অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলেকে।