প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও স্বমহিমায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানকে রীতিমতো দুরমুশ করলেন উইলিয়ামসনরা। এক ইনিংস এবং ১৭৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। এবং তারই সঙ্গে এই প্রথম বার আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিং তালিকার শীর্ষে উঠে এল কিউয়িরা।
বুধবার পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৮৬ রানে। যদিও মঙ্গলবারই ম্যাচের ভবিষ্যৎ স্থির হয়ে গিয়েছিল। কাইল জেমিসন (৬-৪৮) এবং ট্রেন্ট বোল্টের (৩-৪৩) কাছে নাকাল হতে হল পাক দলকে। কিউয়ি অধিনায়ক ও সিরিজসেরা উইলিয়ামসন জানান, “এই বছরের শুরুটা আমাদের সকলের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হওয়াটা আমাদের কাছে খুবই গর্বের বিষয়। তবে এই সাফল্য দলীয় সংহতির। দলে কাইল জেমিসনের মতো বোলার থাকলে জয়ের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। দুই ইনিংস মিলিয়ে ও ১১ উইকেট পেয়েছে। এটা আমাদের কাছে দারুণ এক প্রাপ্তি।” সফল বোলার জেমিসন বলেছেন, “দেশের মাঠে এই সিরিজ আমাদের কাছেও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সকলেই জানতাম, এই টেস্ট জিততে পারলে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গাটা আমরা দখল করে নেব। তাই সকলেই নিজের সেরা ক্রিকেট উজাড় করে দিয়েছে।” স্বাভাবিকভাবেই খুশি তিনি। “কোনওরকম পরীক্ষার মধ্যে যেতে চাইনি। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা নজরে রেখে সেই মতো বোলিং করেছি। তাতেই এসেছে এই সাফল্য।” নিজের বোলিং নিয়ে জানিয়েছেন জেমিসন।
পাক দলের ব্যর্থতার সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক মহম্মদ রিজ়ওয়ান। তিনি বলেছেন, “অধিনায়ক হিসেবে দলের সমস্ত ধরনের ব্যর্থতার দায়ভার আমারই। টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে ২০ উইকেট তোলা দরকার এং তার জন্য ফিল্ডিং ভাল হওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। তা মোটেও ভাল ছিল না এই সিরিজে। তবে আমাদের লড়াই করার ব্যাপারে কোনও ঘাটতি ছিল না। শেষ পর্যন্ত সকলেই নিজের সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছে। এই হার থেকে দারুণ একটা শিক্ষা পেলাম। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমাদের আরও পরিশ্রম করে এই ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।” দলের এহেন বিপর্যয় দেখে টুইন করেছেন প্রাক্তন তারকা খেলোয়াড় শাহিদ আফ্রিদি। তিনি জানান, ‘‘প্রথম টেস্টে ভাল লড়াইয়ের পরে দ্বিতীয় টেস্টে আমাদের পারফরম্যান্স দেখে খারাপ লাগল। টেস্টে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে কিন্তু ক্রিকেটারদের প্রতিভা আর সাহসকে এ বার কাজে লাগাতেই হবে।’’ দুই প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার এবং আকিব জাভেদ প্রশ্ন তোলেন মিসবা-উল-হক এবং ওয়াকার ইউনিসের ভূমিকা নিয়েও।
স্বাভাবিকভাবেই নিউজিল্যান্ডের এই জয় আরো জমজমাট করে তুলল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে। লর্ডসে ফাইনালে শেষমেশ কোন দুটি দল মুখোমুখি হয়, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটমহল।