মমতার সফর পিছিয়ে যেতেই আজ নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা সেখানে যাবেন, তা আগেই জানা গিয়েছিল। সেই মতই নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সেখানে যান তৃণমূলের নেতারা। সেই দলের ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ছত্রধর মাহাতোর মত হেভিওয়েটরা। নেতাইয়ের সেই সভা থেকেই আজ শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মদন।
বিগত কয়েকদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন। এদিন নেতাইয়ের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা দিলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, নেতাই থেকেই পেটাই শুরু হবে। এবার শুধু খেলব না, কোচিংও করাব। একইসঙ্গে জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, রাতের বেলায় মশাল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করব, ভয় নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে আছে। আপনারা ঘুমোতে যান।
এদিন মদন মিত্র শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে ফের বেইমান ও মীরজাফর বলে আক্রমণ করেন। বলেন, ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের সঙ্গে পরিচয়ের কথা সে নিজেই স্বীকার করেছে। কিন্তু তার পরে এতদিন মন্ত্রী, একাধিক সংস্থার চেয়ারম্যান পদে থেকে তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী তঞ্চকতা করেছেন বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার চিঠি তাঁর কাছেও আসবে। কিন্তু তাতে তিনি ভয় পান না। ভয় পান শুভেন্দু অধিকারীর মতো লোকজন। আর তাঁরা বিজেপি নেতাদের পায়ে মাথা নুইয়ে দেন।
এর পাশাপাশি মদন মিত্র বলেন, তিনি বিধায়ক ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন। যা তিনি এতদিন পেয়েছেন, তা তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এই পরিস্থিতি তৃণমূলের সবারই, দাবি করেন তিনি। তৃণমূলের কোনও নেতা যা কিছু করেছেন তার সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতেই বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন মদন মিত্র দাবি করেন, সামনের বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনের সবকটিই তৃণমূল পাবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দল যদি তাঁকে বলে তাহলে তিনি শুধু ঝাড়গ্রাম নয়, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করবেন। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেও খড়দহে এক সভায় মদন মিত্র দাবি করেছিলেন, নির্বাচনে ২৭০ টির বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। এদিনও সেই একই দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের এই সহযোদ্ধা।