৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের শহীদ দিবস। ২০১১ সালের এই দিনেই নন্দীগ্রামের তেখালি ব্রিজের কাছে উদ্ধার হয়েছিল ভরত মণ্ডল, সেখ সেলিম-সহ মোট তিন জন গ্রামবাসীর দেহ। আজ নন্দীগ্রাম দিবসে পূর্ব মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সুব্রত বক্সি। অভিযোগ করলেন, পরিকল্পনামাফিক মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুৎসা রটাচ্ছে কেন্দ্র। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও বিঁধেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির। বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন শুধু জনতা আর মমতার।
এদিন বেলায় কলেজ মাঠের সভায় যোগ দেন বক্সি। সেখান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড আরও একবার সকলের সামনে তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর মাওবাদী হামলায় কোনও প্রাণহানি হয়নি। বাংলা সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে। ২৯ টি প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা পঞ্চায়েতের লড়াই করেছেন।’ বিজেপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বাংলার মাটিতে উন্নয়ন প্রতিহত করতে দিল্লী থেকে কুৎসা, অপপ্রচারের মাধ্যমে মমতাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম একদিকে সংবিধান রক্ষার লড়াই, অন্যদিকে সংবিধান নষ্ট করার লড়াই চলছে। দিল্লীর মসনদে পৌঁছবেন মমতা। দিল্লীর মসনদ থেকে ওই সংবিধান বিরোধী দলকে হটাতে হবেই।’
এরপরই নন্দীগ্রাম আন্দোলন প্রসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, ‘নন্দীগ্রামের আন্দোলন নন্দীগ্রামের মানুষের। আর এই আন্দোলনের একজনই নেত্রী। তিনি হলেন মমতা। কেউ কেউ দাবি করেন এই আন্দোলন তার ব্যক্তিগত।’ শুভেন্দু-সহ অন্যান্যদের দলত্যাগ তৃণমূলে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই এদিন ফের বুঝিয়ে দেন মমতার এই বিশ্বস্ত সৈনিক। বলেন, ‘গাছের দুটো পাতা ঝরলে গাছের ওজন কমে না, একথা মনে রাখা দরকার। তৃণমূল কোনও হেলিকপ্টারে এসে পড়েনি, ভুঁইফোড়ও নয়।’