মেয়াদ শেষের আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বৃহস্পতিবার ক্যাপিটলে হামলার পরেই এ নিয়ে আলোচনা বসল খোদ ট্রাম্পেরই মন্ত্রিসভা। আর মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই সরকারি ভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন। কিন্তু বুধবার (আমেরিকার সময় অনুযায়ী) ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার পর তার আগেই ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফেও একই দাবি তুলে বলা হয়েছে, ২৫ নম্বর সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। সংসদের আইন বিষয়ক কমিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পকে সরাতে পদক্ষেপ করতে বলেছেন ডেমোক্র্যাট সেনেটররা। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, হামলা চালিয়ে ‘গণতন্ত্রের অবমাননা’ করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প প্রশাসনের একের পর এক কর্তাব্যক্তিরা পদত্যাগ করছেন। ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ স্টেফানি গ্রিশাম ও হোয়াইট হাউসের সোশ্যাল সেক্রেটারি রিকি নিসেটা।
বুধবার আমেরিকার সংসদ ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে ওই ঘটনায়। ট্রাম্পের উস্কানিতেই এই হামলা হয়েছে বলে জল্পনা চলছে আমেরিকায়। আর এই ঘটনার পরেই ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্যরা আলোচনায় বসেন। ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল পেন্সও। বৈঠক সূত্রে খবর, আমেরিকার সংসদের ২৫তম সংশোধনী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সংশোধনী অনুযায়ী কোনও প্রেসিডেন্ট ‘দায়িত্ব পালনে অক্ষম’ হলে মেয়াদ শেষের আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া যায়। তবে তার জন্য ভাইস প্রেসিডেনন্টের নেতৃত্বে ভোটাভুটি করতে হয়।