আগামী শুক্রবার ফের কৃষকদের সঙ্গে একদফা আলোচনায় বসতে চলেছে কেন্দ্র। নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় কৃষকেরা। আজ কয়েক হাজার ট্রাক্টর নিয়ে রাজধানী ঘেরাও করলেন তাঁরা। তাঁদের এই ট্রাক্টর মিছিল নিশ্চিতভাবেই মোদী সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে, ধারণা রাজনৈতিক মহলের। দাবি মেনে না নিলে আগামী ২৬শে জানুয়ারি আরও বড় আকারে ট্রাক্টর মিছিলসহ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষকেরা। কেন্দ্র-কৃষকগোষ্ঠী বৈঠকের আগেই তাঁরা এমন আহ্বান জানিয়ে রাখলেন।
হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা, তার মধ্যে বৃষ্টি, কোনও কিছুই কৃষক আন্দোলনের গতিরোধ করতে পারেনি। সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজীপুর, শাহজাহানপুর সীমান্তে কয়েক হাজার ট্রাক্টর এসে জড়ো হয়েছিল গতকাল থেকে। হরিয়ানা ও রাজস্থান সীমান্তেও কয়েক হাজার কৃষক ট্রাক্টর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। কুন্ডলি- মানেসার-পলবল এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এদিন ট্রাক্টর মার্চ এগোল। ইস্টার্ন পেরিফেরল অক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত এদিন বন্ধ ছিল সকাল থেকেই।
শুধু তাই নয়, সরকার তাদের দাবি না মানলে আগামী ২৬শে জানুয়ারি ফের ট্রাক্টর মিছিল আয়োজিত হবে, জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের মতে, আজকের মিছিল শুধু ট্রেলরস্বরূপ। সেদিনের ট্রাক্টর মিছিল আরও বড় ও শক্তিশালী হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কৃষকেরা। হরিয়ানার কিষাণ সংগঠনগুলি প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত দশজন করে মহিলাকে ২৬শে জানুয়ারি দিল্লীতে আসার আহ্বান জানিয়েছে। এরই মধ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন। এদিন গাজিয়াবাদের এডিএম শৈলেন্দ্র কুমার সিংহ জানিয়েছেন, ট্রাক্টরগুলি নয়ডা পৌঁছে আবার গাজীপুর সীমান্তে ফিরে আসবে। কৃষকদের এহেন প্রতিবাদের আগুনে রীতিমতো চাপে গেরুয়া শিবির।