অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ লিগে বর্তমান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলারের দল ব্রিসবেন রোর-এ গত মরসুমে ছিলেন তিনি। অ্যাডিলেডে জন্মানো সেই অস্ট্রেলীয় মিডফিল্ডার ব্র্যাড ইনম্যানকে আশা নিয়েই এটিকে-মোহনবাগানে এনেছিলেন কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস।
হাবাস এ বার দল গড়েছিলেন অনেক অঙ্ক কষে। দুই প্রান্তে মাইকেল সুসাইরাজ এবং প্রবীর দাসকে রাখার পাশাপাশি, ভারতীয় দলের তিন ডিফেন্ডার শুভাশিস বসু, সন্দেশ জিঙ্ঘন, প্রীতম কোটালের সঙ্গে রক্ষণে যোগ করেছেন প্রাক্তন ছাত্র তিরিকে। উদ্দেশ্য, দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে বিপক্ষ রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখবেন প্রবীরেরা। আর শূন্যে ভেসে আসা বলে যেন আগের মরসুমের মতো রক্ষণের সমস্যা না হয়, তার জন্য আঁটসাঁট রাখতে হবে রক্ষণকে।
দ্বিতীয় পরিকল্পনায় হাবাস সফল হয়েছেন, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। নয় ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগানের জালে প্রতিপক্ষ বল জড়িয়ে দিতে পেরেছে মাত্র তিন বার। সাত ম্যাচ গোল না খেয়েই মাঠ ছেড়েছেন কার্ল ম্যাকহিউ-তিরিরা।
তবে ২০ রাউন্ডের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মাত্র ন’টি ম্যাচ হওয়ার পরে সেই ইনম্যানকে নিয়েই আশাভঙ্গ হয়েছে সবুজ-মেরুন শিবিরের স্পেনীয় কোচের। কারণ, জাভি হার্নান্দেস চোট পাওয়ার পরে মাঝমাঠে যে সৃষ্টিশীলতা খুঁজছিলেন হাবাস, তা দিতে ব্যর্থ ইনম্যান। তাই অস্ট্রেলীয় ফুটবলারের বিকল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন তিনি।