আগাম যুদ্ধ পরিস্থিতির আভাস দিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই লালফৌজকে (PLA) প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। জানালেন, যে কোনো মুহূর্তেই যুদ্ধ হতে পারে। সেনাকর্তাদের ‘কমব্যাট’ ট্রেনিংয়ের উপর জোর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশ ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্বভাবতই উত্তেজনার পারদ চড়ছে ভারত-চীন সীমান্তে।
প্রসঙ্গত, নতুন বছরের গোড়াতেই চীনের সেনা আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেনার হাতে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ক্ষমতা। দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে চিনের অভ্যন্তরে ও বাইরে চূড়ান্ত ক্ষমতা পেয়েছে লালফৌজ। ২০২০-এর ২৬শে ডিসেম্বর নয়া আইনকে ছাড়পত্র দেয় চীনের আইনসভা ন্যাশনাল কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি। এরপরই নির্দেশ পাওয়া মাত্র সেনাবাহিনীকে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিলেন জিনপিং। তাঁর এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। এদিন হংকংয়ের এক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছেন যাতে সেনাবাহিনী নিত্যনতুন অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণের আদব-কায়দা বদলেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে বিভিন্ন বাহিনীকে একসঙ্গে ট্রেনিং করতে হবে বলে জানিয়েছেন জিনপিং।
উল্লেখ্য, জিনপিং শুধু সে দেশের প্রেসিডেন্ট বা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নন, ২০১২ সাল থেকে লালফৌজের কম্যান্ডার-ইন-চিফও বটে। সেই সময় থেকেই সেনাবাহিনীর যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির উপর জোর দিয়েছেন জিনপিং। উপরন্তু ২০২০ সালের মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত। গালওয়ানে দু’দেশের জওয়ানদের মধ্যে ভয়ানক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। দু’দেশেরই প্রচুর সেনা জওয়ান নিহত হন। তার পর একাধিকবার ভারতের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চীনের লালবাহিনীর বিরুদ্ধে। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা প্রতিহত হয়েছে। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনার কাছে কার্যত পর্যুদস্ত হয়েছে লালফৌজ। এবার কি তারই বদলা নেওয়ার ছক কষছে চীনা বাহিনী ? তাই এত প্রস্তুতি ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।