তাইল্যান্ডের রাজধানীতে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন সাইনা নেহওয়াল। কিন্তু পরিকাঠামোগত অব্যবস্থা দেখে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তিনি। দু’টি সুপার ১০০০ ইভেন্ট (তাইল্যান্ড ওপেন) ও ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনাল খেলবেন সাইনা-সিন্ধুরা। বিশ্বের সেরা প্লেয়াররা এই তিনটি টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন। দীর্ঘ করোনা আবহ কাটিয়ে বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের মূলস্রোতে ফিরেছেন সিন্ধুরা।
সাইনা লিখেছেন, ‘ওয়ার্ম-আপ, ট্যাপিং, কুল ডাউন, স্ট্রেচিংয়ের কোনও সময় নেই। এত অবহেলা ও অব্যবস্থা সত্যিই মানা যাচ্ছে না। আমরা অনেক টাকা খরচ করে ফিজিও, ট্রেনারদের সঙ্গে এনেছি। কিন্তু নিয়মবিধির বেড়াজালে তাঁদের পরামর্শ নিতে পারছি না। প্রায় ১০ মাস পরে প্রতিযোগিতায় সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন। দুম করে কোর্টে নেমেই ভালো খেলা বিশ্বের কোনও খেলোয়াড়ের পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে ফিজিক্যাল ট্রেনারের থেকে টিপস নিতে পারছি না। ফলে ফিটনেসে ঘাটতি থাকাটাই স্বাভাবিক। এছাড়া ফোরহ্যান্ড ও ব্যাকহ্যান্ডে বিভিন্ন শটে ফাইন টিউনিংয়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সুযোগও ব্যাংককে নেই। তবে যাবতীয় প্রতিকূলতা এড়িয়ে ভালো খেলতে চাই। প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ সাফল্যে ভরিয়ে তোলাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’
আয়োজকরা কোভিড-১৯ নিয়মাবলী মেনে নির্দেশ জারি করেছে, পুরো টুর্নামেন্টে প্লেয়ারদের সঙ্গে ফিজিও এবং ট্রেনাররা দেখা করতে পারবেন না! এই ব্যাপারে সাইনা বলেন, ‘ব্যাংককে পৌঁছে প্রত্যেকের করোনা টেস্ট হয়েছে। সব পরীক্ষার ফল নেগেটিভ। তাহলে পুরো সফরে কেন আমরা ফিজিও এবং ট্রেনারদের সঙ্গে দেখা করতে পারব না? চার সপ্তাহ এখানে থাকতে হবে। একটা ভালো কন্ডিশনে টুর্নামেন্ট খেলতে চাইছি। এ এক অসহ্য পরিবেশ।’
সাইনার লক্ষ্য, টোকিও ওলিম্পিকসে যোগ্যতা অর্জন করা। তাঁর আশঙ্কা, এখন থেকেই উপযুক্ত ট্রেনিং না পেলে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। তাঁর কথায়, ‘প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে প্র্যাকটিস করতে পারবে গোটা দল। জিম সেশনের সময়ও একই। এভাবে ওলিম্পিকসের প্রস্তুতি হয় না।’