রাজ্যে বিগত ১০ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসননীতিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইতিহাসের দুই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘চাণক্য’ এবং ‘পাণিনি’কে তুলে ধরল তৃণমূল। ওই দু’ই ঐতিহাসিক চরিত্রের বলে যাওয়া পথেই হেঁটে চলেছেন মমতা। আজ এমনই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। গত ১০ বছরের শাসনকালে মমতা যে চাণক্য, পাণিনি বর্ণিত শাসননীতি অনুসরণ করেই চলেছেন, তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে আজ সে কথাই বলেছেন তিনি।
বুধবার নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সঙ্গে এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের তুলনা টেনে কাকলি দাবি করেন, অতীতে সু-প্রশাসনের যে ধারণা চাণক্য দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘চাণক্য বলে গিয়েছেন, সু-প্রশাসক তিনিই হবেন, যিনি প্রতি মুহূর্তে মানুষের কথা ভেবে কাজ করবেন। ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নীতিকে অনুসরণ করে গিয়েছেন এবং তা পূরণ করতে পেরেছেন।’’
বিজেপি-র সরকারের সঙ্গে রাজ্যের শাসননীতির যে কোনও মিল নেই, কাকলি সে দাবিও করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সর্বদা নিজেদের স্বার্থে কাজ করে। যেন তেন প্রকারেণ তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়। তাদের আমলে কোনও উন্নয়ন হয়নি!’’ ক্ষমতার জন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, খুন, গুন্ডামি করতে হলে বিজেপি তাই করবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মোদীর শাসনকালে ভারতের অর্থনীতি, আইনের শাসন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন কাকলি।
চাণক্যের পাশাপাশি এদিন ভাষাবিদ পাণিনির কথাও তুলেছেন কাকলি। তাঁর মতে, পাণিনি যে আঞ্চলিক, নিম্নবর্গের মানুষের ভাষা ও উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন, মমতাও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই নীতি অবলম্বন করেছেন। তাঁর চোখ এড়ায়নি সাঁওতালি ও রাজবংশীদের উন্নয়নের দাবিদাওয়াগুলিও। কাকলির কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশী ভাষায় পড়াশোনার জন্য কলেজ করেছেন। পাঠ্যবইতে অলচিকি লিপিও নথিভুক্ত করেছে।’’